বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছাত্র সমন্বয়কবৃন্দের সাথে চট্টগ্রামের নবাগত জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম মতবিনিময় করেছেন। বুধবার ( ১৮ সেপ্টেম্বর) সকালে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে এ মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম বলেন, আসন্ন দুর্গাপূজায় সমন্বয়কদের স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে জেলা প্রশাসনের পাশে পেতে চান,সমন্বয়কগ কর্তৃক গণ অভ্যুত্থানে আহত ২১ জনের তালিকা অনুযায়ী তাদেরকে আর্থিক ও অন্যান্য সকল সহযোগিতা প্রদানে জেলা প্রশাসন সর্বদা পাশে থাকবে। তাছাড়া জেলা প্রশাসক মহোদয় গত ৫ ই আগস্টের পর থেকে ছাত্র-সমন্বয়ক ও নাগরিক কমিটির সকলের সহযোগিতার জন্য তাদেরকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
তিনি আরো বলেন, ছাত্রদের আত্নত্যাগ কখনো ভুলবোনা, একাত্তর যেভাবে মনে রেখেছি চব্বিশও সেভাবেই মনে থাকবে, বিপ্লব নিয়ে কাজ করবো , বিপ্লব নিয়েই থাকবো। সবসময় ছাত্রদের পাশে থাকার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন তিনি।
সভায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) জনাব সাদিউর রহিম জাদিদ, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জনাব এ.কে. এম গোলাম মোর্শেদ খান ও জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটগণ। ছাত্র সমন্বয়ক দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন রাসেল আহমেদ, ইব্রাহীম রনি , জোবাইদুল হক , ওবায়দুর রহমান সহ অনেকে।
সভায় সমন্বয়করা নির্দিষ্ট জায়গায় ও সময়ে ফুটপাত ব্যবস্থাপনা,রাস্তা বেদখল অপসারণ, ফুটপাত সপ্তাহ ঘোষণা,পানি নিষ্কাশন,বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় শৃঙ্খলা আনতে জেলা প্রশাসকের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। এছাড়া বাজার ভিত্তিক কমিটি গঠন, পূজা মন্ডপে সিসি ক্যামেরা স্থাপন, প্রকাশ্যে ধূমপানের বিরুদ্ধে জরিমানা, দুর্নীতি প্রতিরোধে গণশুনানি ,টিসিবি ডিলার নিয়োগে স্বচ্ছতা,ভেজাল বিরোধী অভিযান জোরদারকরণ,সরকারি অফিসগুলোতে দৃশ্যমান স্থানে সিটিজেন চার্টার স্থাপনের ব্যবস্থা গ্রহণ, পিপি, জিপি ও এপিপি নিয়োগে মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে নিয়োগ, মসজিদ মন্দির বিভিন্ন ধর্মীয় উপাসনালয় কমিটি পুনর্বিবেচনা ,কিশোর গ্যাং এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণসহ বিভিন্ন বিষয়ে নবাগত জেলা প্রশাসককে অবগত করেন।
সমন্বয়কদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন রাসেল আহমেদ, জোবাইদুল হক, ওবায়দুর রহমান , পুষ্পিতা , ইকবাল প্রমুখ। এ সময় সমন্বয়ক রাসেল আহমেদ জুলাই বিপ্লবে চট্টগ্রামের অবদান ও ইতিহাসের সঠিক ডকুমেন্টেশনের মাধ্যমে ম্যাগাজিন প্রকাশনার জন্য জেলা প্রশাসকেরর সহযোগিতা চান।
সভার শুরুতে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত সকল শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।