২০২১ সালের হত্যাকান্ডের সুষ্ঠু তদন্তের দাবি হেফাজতের

 

২০২১ সালের ২৬ মার্চ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরকে কেন্দ্র করে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে সাধারণ মুসল্লিদের প্রতিবাদ মিছিলে পুলিশি হামলা হয়। এর প্রতিবাদে হাটহাজারীতে ছাত্র-জনতার শান্তিপূর্ণ মিছিলে পুলিশ বিনা উস্কানিতে ওসি রফিকের নির্দেশে গুলি চালানো হয়। এতে চারজন হেফাজতকর্মী ও মাদ্রাসা ছাত্র নিহতসহ অর্ধ-শতাধিক মানুষ আহত হন।

হেফাজত নেতারা এই নারকীয় হত্যাকাণ্ডের জন্য ওসি রফিকসহ জড়িতদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড দাবি করেছেন।
অন্যথায় ছাত্র-জনতাকে সাথে নিয়ে দূর্বার আন্দোলন গড়ে তোলা হবে বলে হুশিয়ারি দিয়েছেন হেফাজতে ইসলামে নেতারা।

গতকাল শনিবার বিকেলে হাটহাজারীতে আল আমিন সংস্থার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এমন হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন হেফাজত ইসলাম হাটহাজারী উপজেলা শাখার নেতারা। হত্যাকাণ্ডের সকল আসামিকে গ্রেপ্তার পূর্বক ন্যায়বিচার নিশ্চিত করারও দাবি জানান তারা।

নেতৃবৃন্দ বলেন, সেদিন হেফাজতের কোনো কর্মসূচি ছিল না। তা সত্ত্বেও ঘটনার সম্পূর্ণ দায় চাপানো হয়েছে হেফাজতের ওপর। তারা প্রশ্ন তোলেন, হেফাজতের কোনো কর্মসূচি না থাকা সত্ত্বেও হাটহাজারী থানায় রায়ট কার, জল কামানসহ অতিরিক্ত ফোর্স নিয়ে পুলিশের রণ-প্রস্তুতি ছিল কেন? ওসি রফিক হাটহাজারী মডেল থানায় থানার সম্মুখে সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মতো বাংকার স্থাপন করেছিলেন কেন?

হেফাজত নেতারা অভিযোগ করেন, ওসি রফিক আওয়ামী লীগ নেতাদের সামনে দাম্ভিকতার সাথে বলতেন, হেফাজত অনেক তাণ্ডব চালিয়েছে। এবার আমি দেখে নেব। প্রয়োজনে হাটহাজারীতে ১০ হাজার লাশ পড়বে।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন হেফাজত ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা নাছির উদ্দিন মুনির। লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনের সমাজ কল্যাণ সম্পাদক আহসান উল্লাহ মাস্টার।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন দফতর সম্পাদক মাওলানা নিজাম সাইয়্যিদ, সম্পাদক মাওলানা এমরান সিকদার, মাওলানা শফিউল আলম, মাওলানা হাফেজ আলী আকবর, মাওলানা রিজওয়ান আরমান, মাওলানা আবুল হাশেম, মাওলানা আনিস, মাওলানা আসাদ উল্লাহ, আবু তাহের রাজিব প্রমুখ।