চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে শিপইয়ার্ডে বিস্ফোরণের ঘটনায় জাহাঙ্গীর আলম (৪৮) ও বরকত উল্লাহ (২৩) নামে দগ্ধ আরো দুই জন মারা গেছেন। শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) এ নিয়ে বিস্ফোরণের ঘটনায় মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়ালো পাঁচজনে। মারা যাওয়াদের মধ্যে জাহাঙ্গীর পিরোজপুর জেলার কাউখালীর আবেদ আলী হাওলাদারের ছেলে। আর বরকত উল্লাহ চট্টগ্রামের পটিয়ার মো. আইয়ুব আলীর ছেলে।
শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক তরিকুল ইসলাম জানান, শনিবার ভোরের দিকে বার্ন ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জাহাঙ্গীর আলম ও বরকত উল্লাহ মারা যায়। এদের মধ্যে জাহাঙ্গীর আলমের শরীরের ৭০ শতাংশ ও বরকতুল্লাহর শরীরের ৬০ শতাংশ দগ্ধ ছিল। এই নিয়ে আমাদের হাসপাতালে সাতজনের মধ্যে চারজনের মৃত্যু হয়েছে। বর্তমানে আশঙ্কাজনক আরও তিনজন চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তারা হলেন— আবুল কাশেম (৩৯), আনোয়ার হোসেন (৪৫) ও আল-আমিন (২৩)। তাদের মধ্যে আনোয়ার হোসেন ২৫ শতাংশ ও আবুল কাশেম ৭০ শতাংশ দগ্ধ নিয়ে ভর্তি রয়েছেন। তাদের অবস্থাও আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন এই চিকিৎসক।
গত ৭ সেপ্টেম্বর বেলা সাড়ে ১২টার দিকে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের সোনাইছড়ির তেঁতুলতলা এলাকার সমুদ্র উপকূলে একটি শিপ ইয়ার্ডে জাহাজ কাটার সময় পাম্পহাউজে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে দগ্ধ হন মোট ১২ জন। তাদের মধ্যে গুরুতর দগ্ধ অবস্থায় আটজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের পাঠানো হয়। এরমধ্যে পথেই ৯০% দগ্ধ আহমাদুল্লাহর মৃত্যু হয়। পরে গত রবিবার (৮ সেপ্টেম্বর) খাইরুল (৮০ শতাংশ দগ্ধ) এবং সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) হাবিব (৪৫ শতাংশ দগ্ধ) আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়।
এছাড়া চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বাকি চারজন হলেন— সাগর (২০), রফিকুল ইসলাম (৩০), মো. রফিক (৩০), সাইফুল (৩০)।