রাষ্ট্র সংস্কারের পর নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে : বিএনপি নেতা শামীম

বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও বিভাগীয় শোভাযাত্রার সমন্বয়কারী মাহবুবের রহমান শামীম বলেছেন, আওয়ামী লীগ আজীবন ক্ষমতায় থাকার জন্য দেশকে লাশের রাজ্যে পরিণত করেছিল। তারা গনতন্ত্রকে হত্যা করেছিল। কিন্তু ছাত্র জনতার গণআন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনাকে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে হয়েছে।

তিনি বলেন, বিগত সতের বছর ধরে বিএনপি এই আন্দোলন সংগ্রামের মাঠ তৈরি করেছে। তারেক রহমানের আহবানে সাড়া দিয়ে লক্ষ লক্ষ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল। তার সুযোগ্য নেতৃত্বে এবং দিক নির্দেশনায় আন্দোলনের সফলতা এসেছে। বর্তমানে ফ্যাসিস্টরা বিদায় নিলেও দেশে এখনো আওয়ামী লীগের ঘাতকরা রয়ে গেছে। পরাজিত ঘাতকরা যাতে মাথাচাড়া দিতে না পারে, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। সেজন্য অন্তর্বর্তী সরকারকে সতর্ক হতে হবে, যাতে শহীদদের আত্মত্যাগ বৃথা না যায়। তাই রাষ্ট্র সংস্কারের পর নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে। জনগণের ক্ষমতা জনগণের হাতে ফিরিয়ে দিতে হবে।

তিনি বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে নগরীর কাজির দেউরী নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয়ে চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিএনপির প্রস্তুতি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। সভায় আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর বিশ্ব গণতন্ত্র দিবস উপলক্ষে বিএনপির কেন্দ্র ঘোষিত চট্টগ্রাম বিভাগীয় শোভাযাত্রা কর্মসূচী চট্টগ্রামবাসীকে সাথে নিয়ে সফল করার জন্য সকল নেতাকর্মীদের প্রতি আহবান জানান তিনি।

চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক আলহাজ্ব এরশাদ উল্লাহর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় বিএনপির শ্রম সম্পাদক এ এম নাজিম উদ্দীন, মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব নাজিমুর রহমান।

সভাপতির বক্তব্যে এরশাদ উল্লাহ বলেন, শেখ হাসিনা ভারতে আশ্রয় নিয়ে বাংলাদেশবিরোধী চক্রান্তে লিপ্ত আছে। আজকে বিভিন্ন মহল থেকে বিএনপির বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। তারেক রহমানের বিরুদ্ধে এখনো ষড়যন্ত্র চলছে। তাই জনগণের কাছে বিগত আন্দোলন সংগ্রামে বিএনপির ভূমিকা তুলে ধরতে হবে। বিএনপির প্রতি মানুষের যে ভালোবাসা সেটাকে ধরে রাখতে হবে। জনগণের মন জয় করে আগামী নির্বাচনে বিএনপিকে বিজয়ী করতে হবে।

এ এম নাজিম উদ্দীন বলেন, হত্যাকারী শেখ হাসিনা দেশে ছেড়ে পালিয়েছে। আমাদের দুর্ভাগ্য যে, আজকে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত তাকে আশ্রয় দিয়েছে। সেখান থেকে তিনি আবার বাংলাদেশের ছাত্র জনতার যে বিপ্লব সেটাকে নস্যাৎ করার বিভিন্ন চক্রান্ত শুরু করেছে। তাই ভারত থেকে শেখ হাসিনাকে ধরে নিয়ে এসে ছাত্র গণহত্যার বিচারের ব্যবস্থা করতে হবে। এ ব্যাপারে কোনোরকম শৈথিল্য ছাত্র জনতা সহ্য করবে না।

এতে বক্তব্য রাখেন ফেনী জেলা বিএনপির আহবায়ক শেখ ফরিদ বাহার, রাঙ্গামাটি জেলা বিএনপির সভাপতি দীপেন তালুকদার দিপু, নোয়াখালী জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এড. আবদুর রহমান, ফেনী জেলা বিএনপি সদস্য সচিব আলাউদ্দিন আলাল, বান্দরবান জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জাবেদ রেজা, রাঙ্গামাটি জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট মামুনুর রশিদ মামুন, উত্তর জেলা বিএনপির সি. যুগ্ম আহবায়ক এম এ হালিম, মহানগর বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহবায়ক এম এ আজিজ, খাগড়াছড়ি জেলা বিএনপির সি. সহ সভাপতি ক্ষেত্রমোহন রৌয়াজা, বিএনপি নেতা মোহাম্মদ মিয়া ভোলা, এডভোকেট আব্দুস সাত্তার সৈয়দ আজম উদ্দিন, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, ইস্কান্দার মির্জা, অধ্যাপক ইউনুস চৌধুরী, আলহাজ্ব সালাউদ্দীন, ইঞ্জিনিয়ার বেলায়েত হোসেন, সরোয়ার আলমগীর, হারুন জামান, নিয়াজ মোহাম্মদ খান, খাগড়াছড়ি জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুর রব রাজা, মহানগর যুবদলের সভাপতি মোশারফ হোসেন দীপ্তি, দক্ষিণ জেলা যুবদলের সভাপতি মোহাম্মদ শাহজাহান, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আজগর, উত্তর জেলা যুবদলের সভাপতি হাসান জসিম, সাধারণ সম্পাদক মুরাদ চৌধুরী প্রমুখ।