চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় পুলিশের হেফাজত থেকে যুবলীগ নেতা পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় থানার ওসি মো. রাশেদুল ইসলামসহ চার পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। অন্যরা হলেন, ডিউটি অফিসার আমির হোসেন, এসআই নাছিমা আক্তার ও সেন্ট্রি কনস্টেবল মো. এনামুল হক। এ ছাড়া নতুন করে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে আরিফুর রহমানকে।
সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) বেলা আড়াইটার দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার রায়হান উদ্দিন খান। তিনি জানান, যুবলীগ নেতা সাইফুলের বিরুদ্ধে গরু চুরি, চাঁদাবাজিসহ একাধিক মামলা রয়েছে। এলাকায় চাঁদাবাজি, অত্যাচার, নিপীড়নসহ নানা অভিযোগে তাকে রোববার সকালে পুলিশের হাতে তুলে দেন স্থানীয়রা। যুবলীগ নেতা সাইফুল লোহাগাড়ার কলাউজান বলিপাড়া গ্রামের নজির আহমদের ছেলে।
সাতকানিয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শিবলী নোমান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘স্থানীয়রা যুবলীগ নেতা সাইফুলকে ধরে থানায় হস্তান্তর করেন। সে কৌশলে থানা থেকে পালিয়ে গেছে। তাকে গ্রেফতার করতে পুলিশের একাধিক টিম মাঠে কাজ করছে। এ ব্যাপারে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। দায়িত্বে অবহেলায় চার পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। ঘটনাটি তদন্ত করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
স্থানীয় আরফাত বলেন, সাইফুল স্বৈরাচার সরকারের দোসর ও দালাল। তার অত্যাচারে এলাকার মানুষ অতিষ্ট। তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা ও গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে। আমরা ধরে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করি। থানা হেফাজত থেকে পুলিশের সহযোগিতায় সাইফুল পালিয়ে গেছে সে।