সীতাকুণ্ডে এসএন কর্পোরেশন শিপ ইয়ার্ডে বিস্ফোরণ, দগ্ধ ১ জনের মৃত্যু

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে এসএন কর্পোরেশন শিপ ইয়ার্ডে বিস্ফোরণের ঘটনায় দগ্ধ একজনের মৃত্যু হয়েছে। চট্টগ্রাম থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য দগ্ধ আটজনকে ঢাকায় নেওয়ার পথে আহমদ উল্লাহ (৩৮) নামে একজন মারা যায়। বাকি সাতজনকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে। বাকি সাতজন হলেন— মো. জাহাঙ্গীর আলম (৪৮), আবুল কাশেম (৩৯), বরকাতুল্লাহ (২৩), আনোয়ার হোসেন (৪৫), খাইরুল ইসলাম (২১), আল-আমিন (২৩) ও হাবিব (৩৫)।

রোববার  ( ৮ সেপ্টেম্বর ) সকালে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. তরিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, শনিবার মধ্যরাতে দগ্ধ অবস্থায় চট্টগ্রাম থেকে আমাদের এখানে আটজনকে নিয়ে আসা হয়। ঢাকায় আনার পথে আহমেদ উল্লাহ নামে একজন মারা যায়। অন্যদের হাসপাতালে ভর্তি  করা হয়েছে। তাদের সবার অবস্থাও আশংকাজনক।

ডা. তরিকুল ইসলাম জানান, দগ্ধদের মধ্যে মো. জাহাঙ্গীর আলমের শরীরে ৭০ শতাংশ, আবুল কাশেমের শরীরের ৭০ শতাংশ, বরকাতুল্লাহর শরীরের ৬০ শতাংশ, আনোয়ার হোসেনের শরীরের ২৫ শতাংশ, খাইরুল ইসলামের শরীরের ৮০ শতাংশ, আল-আমিনের শরীরের ৮০ শতাংশ ও হাবিবের শরীরের ৪৫ শতাংশ পুড়ে গেছে। তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজনকে আইসিইউতে পাঠানো হয়েছে।

এর আগে শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার সোনাইছড়ি ইউনিয়নের তেঁতুলতলা এলাকার সমুদ্র উপকূলে জাহাজ কাটার সময় পাম্পহাউজে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে দগ্ধ হন মোট ১২ জন। এরপর তাদেরকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়। আহতদের মধ্যে ৮ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদেরকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়। চমেকে চিকিৎসাধীন বাকি চারজন হলেন— সাগর (২০), রফিকুল ইসলাম (৩০), মো. রফিক (৩০), সাইফুল (৩০)।