বেতন বৈষম্য নিরসনের দাবিতে হিসাবরক্ষণ অফিস-অডিট অধিদপ্তরে কর্মবিরতি

 বেতন বৈষম্য নিরসন এবং দশম গ্রেড বাস্তবায়ন চেয়ে সারাদেশে সকল হিসাবরক্ষণ অফিস ও অডিট অধিদপ্তরে কর্মবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে।  চট্টগ্রামেও দেশের সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী অডিটর পদ দশম গ্রেডে উন্নীত করার দাবিতে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালিত হয়েছে।

বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে নগরের নাসিরাবাদে ডিভিশনাল কন্ট্রোলার অব অ্যাকাউন্টস অফিসের অডিটররা বিক্ষোভ করেন।

এ সময় অডিটররা বলেন, দেশের সর্বোচ্চ আদালত অডিট অ্যান্ড অ্যাকাউন্টস বিভাগের অডিটরের বেতনস্কেল গ্রেড ১১তম হতে ১০ম গ্রেডে উন্নীত করার রায় দিয়েছেন। কিন্তু অর্থ বিভাগ থেকে সকল অডিটরকে ১০ম গ্রেডে (দ্বিতীয় শ্রেণি গেজেটেড) উন্নীত না করে শুধুমাত্র রিট পিটিশনকারী ৬১ জন অডিটরের বেতন স্কেল ১০ম গ্রেডে উন্নীত করার অফিস আদেশ জারি করে।

বিক্ষোভ সমাবেশে তারা আরো বলেন, এ বিষয়ে আদালত অবমাননার অভিযোগ দায়ের করলে সর্বোচ্চ আদালত ২০২২ সালে অডিটরদের গ্রেড-১০ এ উন্নীত করার পক্ষে রায় দিলেও নানা টালবাহানায় অর্থ বিভাগ সর্বোচ্চ আদালতের রায় বাস্তবায়ন করছে না। গত ১২ আগস্ট সিএজি দফতর থেকে এ বিষয়ে চিঠি পাঠানো হলে অর্থ বিভাগের প্রশাসন ও সমন্বয় অনুবিভাগ থেকে মতামতের জন্য আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। এর প্রেক্ষিতে আইন উপদেষ্টা অডিটর পদ ১০ম গ্রেডে উন্নীত করার বিষয়ে চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়ে বাস্তবায়নের জন্য অর্থ মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করে। কিন্তু অর্থ মন্ত্রণালয় গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে তা বাস্তবায়ন করছে না।

মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক (সিএজি),অডিট অধিদফতর, হিসাব মহানিয়ন্ত্রক (সিজিএ),কন্ট্রোলার জেনারেল ডিফেন্স ফাইন্যান্স (সিজিডিএফ) এবং রেলওয়ের হিসাব বিভাগে বর্তমানে ৬ হাজার ৯৮৫ জন অডিটর কর্মরত আছেন । এর মধ্যে রিট মামলার পক্ষভুক্ত মাত্র ৬১জন অডিটর ২৩/১২/২০১৮ থেকে ১০ম গ্রেডে বেতন পেয়ে থাকেন। বাকিরা এখনো ১১তম গ্রেডে বেতন পাচ্ছেন।

বিক্ষোভকালে তারা আদালতের রায় দ্রুত বাস্তবায়নের দাবি জানান। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এ কর্মসূচি চলবে বলে ভুক্তভোগী অডিটররা জানান ।

সমাবেশে অডিটর মোহাম্মদ আবদুল আজিম বলেন, ‘একই পদে দুটি গ্রেড বিদ্যমান থাকায় আমরা চরম বৈষম্যের শিকার হচ্ছি। এ বৈষম্য দূর করার জন্য সিএজি অফিস থেকে একটি চিঠি অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। সেই চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে আইন মন্ত্রণালয়ের মাননীয় উপদেষ্টা আসিফ নজরুল অডিটরদের দশম গ্রেডের পক্ষে মতামত দিয়েছেন। তারপরও অজ্ঞাত কারণে অর্থ মন্ত্রণালয় তা বাস্তবায়ন করছে না। আমরা অডিটর পদের ১০ম গ্রেড দ্রুত বাস্তবায়ন চাই।’