কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাবেক সহ-সাধারণ সম্পাদক নুরুল আলম নুরুকে অপহরণ ও হত্যার অভিযোগে ১৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে। রোববার ( ২ সেপ্টেম্বর ) রাতে চট্টগ্রাম নগরীর চকবাজার থানায় মামলাটি দায়ের করেন নুরুর স্ত্রী সুমি আক্তার।
মামলায় আসামি করা হয়েছে- রাউজানের সাবেক সংসদ সদস্য এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী, রাউজান নোয়াপাড়া পুলিশ ফাঁড়ির তৎকালীন ইনচার্জ এবং বর্তমানে চুয়েট পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই জাবেদ, বাবুল মেম্বার, নাসের প্রকাশ টাইগার নাসের, লিটন, তৈয়ব, ফরিদ, মামুন, আবু জাফর রাশেদ, ইয়ার মোহাম্মদ, সেকান্দর, জসিম, খালেদ, বাবুল রব্বানি, হাসান মোহাম্মদ নাসির ও মোর্শেদকে। এছাড়া অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে ৩০ থেকে ৪০ জনকে।
মামলার এজাহারে বলা হয়, ২০১৭ সালের ২৯ মার্চ নগরের চকবাজার থানাধীন চন্দনপুরার পশ্চিম গলির মিন্নি মহল বাসায় রাত ১১টা ৪৫ মিনিটে এবিএম ফজলে করিমের নির্দেশে রাউজান থানার এসআই জাবেদ অস্ত্র হাতে এসে বাসার দরজায় নক করেন। তখন নুরুর ভাগ্নে রাশেদুল ইসলাম বাসার প্রধান দরজা খুলে দেন। এ সময় বাসায় ঘুমন্ত নুরুল আলমকে বিছানা থেকে টেনে তুলে হাতে হাতকড়া পরিয়ে দেন এসআই জাবেদ। তখন পরিবারের সদস্যদের পুলিশ জানায়, পরোয়ানা মূলে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে পরিবারের সদস্যরা পরোয়ানা দেখতে চাইলে পুলিশ দেখায়নি। বাসার তিনটি মোবাইল ফোনসহ নুরুকে বাইরে অপেক্ষমাণ একটি সাদা রঙয়ের মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যায়। পরে তাকে নোয়াপাড়া কলেজ ক্যাম্পাসে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কাপড় দিয়ে চোখ, মুখ বেঁধে ও রশি দিয়ে দুই হাত বেঁধে অমানুষিক শারীরিক নির্যাতন চালানো হয়। পরে তার মাথায় গুলি করে হত্যার পর রাউজন বাগোয়ান ইউনিয়নের খেলারঘাট কর্ণফুলী নদীর তীরে মরদেহ ফেলে দেওয়া হয়। পরদিন ৩০ মার্চ মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ৩১ মার্চ ময়নাতদন্ত শেষে লাশ দাফন করা হয়।
মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর ) মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চকবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ওয়ালী উদ্দিন আকবর।