বন্যায় দুই নারীসহ ১৩ জন মারা গেছেন বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. কামরুল হাসান।তিনি বলেন, এর মধ্যে কুমিল্লায় ৪ জন, ফেনীতে একজন, চট্টগ্রামে ২ জন, নোয়াখালীতে একজন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় একজন, লক্ষ্মীপুরে একজন এবং কক্সবাজারে তিনজন মারা গেছেন। এছাড়া বন্যায় দেশের ১১ জেলায় ৭৭ উপজেলা প্লাবিত এবং ৫৮৪ ইউনিয়ন/পৌরসভা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলেও জানান তিনি।
শুক্রবার (২৩ আগস্ট) সচিবালয়ে চলমান বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, বর্তমানে দেশের ১১টি জেলা বন্যা প্লাবিত আছে। বন্যা তীব্র আকার ধারণ করেছে ফেনীতে। এছাড়া চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, নোয়াখালী, সিলেট, মৌলভীবাজার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, লক্ষ্মীপুর, খাগড়াছড়ি এবং কক্সবাজার জেলা বন্যাকবলিত হয়েছে। ১১ জেলায় ক্ষতিগ্রস্ত লোকসংখ্যা ৪৪ লাখ ৯৭ হাজার ৫৩৫ জন। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার ৮ লাখ ৮৭ হাজার ৬২৯ জন বলেও জানান তিনি।
কামরুল হাসান আরও জানান, এ পর্যন্ত ৩ হাজার ১৬০টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এসব আশ্রয়কেন্দ্রে এক লাখ ৮৮ হাজার ৭৩৯ জন আশ্রয় নিয়েছেন। ১১ জেলার ক্ষতিগ্রস্তদের চিকিৎসা সেবা প্রদানের জন্য মোট ৬৩৭টি মেডিকেল টিম চালু রয়েছে।
বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে নগদ ৩ কোটি ৫২ লাখ টাকা, ২০ হাজার ১৫০ টন চাল ও ১৫ হাজার খাবারের প্যাকেট বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়া দেশের সব জেলায় পর্যাপ্ত ত্রাণ সামগ্রী মজুদ রয়েছে বলে জানানো হয় মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে।
বন্যা আক্রান্ত জেলাসমূহের জেলা প্রশাসককে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক, সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, মেডিকেল টিম ও অন্যান্য স্বেচ্ছাসেবকদের সঙ্গে সমন্বয় করে এক সঙ্গে কাজ করার জন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ে সার্বক্ষণিক কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। তথ্য ও সহযোগিতার জন্য ০২৫৫১০১১১৫ নম্বর চালু রয়েছে।
ফেনী, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম, ব্রাহ্মণবাড়ীয়া, কুমিল্লা, হবিগঞ্জ ও লক্ষ্মীপুর জেলার বন্যা উপদ্রুত এলাকায় সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড ও বিজিবি জেলা প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে উদ্ধার কাজে নিয়োজিত রয়েছে।