গত কয়েকদিনের অব্যাহত বৃষ্টির কারণে চট্টগ্রামের বেশির ভাগ এলাকা এখন জলাবদ্ধতায় নিমজ্জিত রয়েছে। বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকার কারণে চট্টগ্রামের পাহাড় ধসের আশংকা করা হচ্ছে। মৌসুমী বায়ুর সক্রিয়তার কারণে লাগাতার মাঝারি থেকে ভারি বৃষ্টিপাত আরো দুইদিন অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া অফিস।
পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিস বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে ৭৬ মিলিমিটার। এরমধ্যে মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে ৬০ মিলিমিটার। যদিও এর আগের দিন ১২৩ বৃষ্টিপাত রেকর্ড করে আবহাওয়া অফিস। তবে আজ সকাল ৯টার পর থেকে বাড়তে থাকে বৃষ্টির দাপট। এ বৃষ্টির কারণে নগরবাসীকে পোহাতে হয়েছে জলাবদ্ধতার ভোগান্তিও। একইসাথে অতি ভারী বৃষ্টির কারণে সমুদ্র বন্দরগুলোকে দেওয়া ৩ নম্বর সতর্কতা সংকেত বহাল রাখা হয়েছে।
পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা ঈসমাইল ভূঁইয়া বলেন, ‘সক্রিয় মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে আজকে (মঙ্গলবার) সকাল ১০টা থেকে আগামী ৪৮ ঘণ্টা ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে। এর প্রভাবে পাহাড় ধসেরও সম্ভাবনা রয়েছে। তবে আগামী পরশু (বৃহস্পতিবার) থেকে আবহাওয়ার কিছুটা উন্নতি হবে। এরপর ধীরে ধীরে বৃষ্টিপাতও কমে আসবে।
তিনি আরও বলেন, ‘বঙ্গোপসাগরে সুস্পষ্ট লঘুচাপের প্রভাব কমে আসায় মৌসুমী বায়ু সক্রিয় আছে। এছাড়াও গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালার প্রভাবে উপকূলে ঝড়ো হাওয়ার আশঙ্কায় সমুদ্র বন্দরগুলোকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলেছে।
এদিকে, সকাল থেকে বৃষ্টিপাত বেড়ে যাওয়ায় নগরের নিচু এলাকাগুলোতে জলাবদ্ধতা তৈরি হয়েছে এবং অধিকাংশ এলাকা পানির নিচে রয়েছে বলে জানা গেছে।
নগরীর জিইসি মোড়, প্রবর্তক মোড়, পাঁচলাইশ, বহদ্দারহাট, চকবাজার, বাকলিয়া, চান্দগাঁও, কাপাসগোলা, শুলকবহর, হালিশহরসহ বেশ কিছু নিচু এলাকায় জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। সড়কে হাঁটুসমান পানি জমে গেছে। গাড়ি চলাচল বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
নগরীর ষোলশহর ২ নং গেইট এলাকার সড়কেশে হাঁটুসমান পানি জমে থাকে। এতে গাড়ি চলাচল বাধাগ্রস্ত হয়েছে। এভাবে পানি জমে থাকায় ভোগান্তিতে পড়েন মানুষ। গন্তব্যে পৌঁছার জন্য অনেকেই বিকল্প সড়ক ব্যবহার করেন। এ ছাড়া সকালের বৃষ্টিতে নগরের পাঁচলাইশে সড়কে পানি জমে গেছে। এছাড়া প্রবর্তক মোড়, চকবাজার, কাপাসগোলা ও বহদ্দারহাটেও একই চিত্র। এসব এলাকা একরকম জলমগ্ন অবস্থায় দেখা যায়।