ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর চরমোনাই পীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম বলেছেন, দেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বর্বর ও নৃশংস আওয়ামী দুঃশাসন উৎখাতের সংগ্রামের সূচনা করেছে আমাদের গর্ব শিক্ষার্থী সমাজ। তাদের ত্যাগ ও বুদ্ধিদীপ্ত নেতৃত্ব আমাদের গর্বিত করেছে।
তিনি আরো বলেন, শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবি না মেনে খুনি হাসিনা সরকার নির্বিচারে পাখির মতো গুলি করে হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে। খুনি হাসিনাসহ সকল হত্যাকারী, বিদেশে অর্থপাচারকারী, দুর্নীতিবাজদের বিচার করতে হবে। পাচারকৃত অর্থ দেশে ফিরিয়ে এনে বাজেয়াপ্ত করতে হবে। সুন্দর একটি বাংলাদেশ দেখার প্রত্যাশা করছেন দেশবাসী। বিগত জালেম সরকারের নির্বাচন কমিশনে জড়িতদের বিচার করে জনগণের প্রত্যাশা পূরণ করতে হবে। দেশের সংখ্যালঘুদের জান-মাল ধর্মীয় উপাসনালয়ের নিরাপত্তা দেয়া ঈমানী দায়িত্ব বলেও উলেখ করেন তিনি।
শনিবার ( ১০ আগস্ট) নগরীর লালদীঘি ময়দানে রাষ্ট্র সংস্কারে ৯ দফা দাবী বাস্তবায়নে বিশাল গণ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সংগঠণের মহাসচিব ইউনুছ আহমাদ বলেন, খুনি হাসিনার পতনের পর যারা দখলদারিত্বে মেতে উঠেছে, বিরোধী মতের বাড়ী-ঘর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ইত্যাদি ধ্বংসে লিপ্ত হয়েছে, তাদেরকে বলে দিতে চাই আওয়ামী লীগের পুনরাবৃত্তি ঘটাতে চাইলে আমরা তাদেরকে ছেড়ে দিবো না। তিনি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিয়ে শিক্ষার্থীদেরকে পড়ার টেবিলে ফিরিয়ে নিতে হবে। ছাত্রসমাজকে আগামির নেতৃত্বের জন্য যোগ্যতা ও দক্ষতা অর্জনের আহ্বান জানান তিনি।
সংগঠনের চট্টগ্রাম মহানগর সভাপতি আলহাজ্ব মোহাম্মদ জান্নাতুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত গণসমাবেশে বিশেষ অতিথি ছিলেন, কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা, অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, কেন্দ্রীয় আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক, প্রফেসর ড. বেলাল নুর আজিজ, কেন্দ্রীয় সহকারী সাংগঠনিক সম্পাদক, মুফতী দিলাওয়ার হোসাইন সাকী, ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সেক্রেটারী জেনারেল মুহাম্মদ মুনতাসির আহমদ, প্রচার সম্পাদক, ইউছুফ মালিক, জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদ চট্টগ্রাম মহানগরের সেক্রেটারী মাওলানা মুফতী গোলাম কিবরিয়া শরীফী, কেন্দ্রীয় সদস্য ও নগর সেক্রেটারী আল মুহাম্মদ ইকবাল প্রমুখ।