সিমিত পরিসরে সিএমপির ১১ থানার কার্যক্রম শুরু

সাদা পোশাকে ডিউটি করছেন এ বাহিনীর সদস্যরা

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের-সিএমপি ১৬ থানার মধ্যে সিমিত পরিসরে ১১ থানার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। তবে কোন মামলা বা সাধারণ ডায়েরি ( জিডি ) হয়নি। সাদা পোশাকে ডিউটি করছেন এ বাহিনীর সদস্যরা থানার সূত্রে জানা গেছে।

গতকাল শুক্রবার সকাল থেকে এসব থানায় কার্যক্রম শুরু হয়। কার্যক্রম শুরু হওয়া থানাগুলো হচ্ছে- চান্দগাঁও, বায়েজিদ বোস্তামী, খুলশী, পাঁচলাইশ, সদরঘাট, চকবাজার, বাকলিয়া, পাহাড়তলী, আকবরশাহ, কর্ণফুলী ও বন্দর।

চান্দগাঁও থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোমিনুল হাসান বলেন, আমাদের থানায় পুলিশ সদস্যরা কাজে যোগ দিয়েছেন, তাঁদের বেশির ভাগই সাদাপোশাকে দায়িত্ব পালন করছেন। শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত থানায় কোনো মামলা ও জিডি হয়নি।

সিএমপি কমিশনার মো.সাইফুল ইসলাম বলেন, আমাদের ১৬ থানার মধ্যে ১১ থানার কার্যক্রম শুক্রবার সকাল ১১টা থেকে শুরু হয়েছে। সিএমপির ৫ থানায় হামলা-ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে, সেসব থানায় পুলিশ সদস্যরা এলেও সেখানে পুলিশের বসার মতো অবস্থা ছিল না। তাই সিএমপির ৫ থানায় এখনো কার্যক্রম শুরু হয়নি।

তিনি বলেন, আমাদের ট্রাফিক পুলিশের কার্যক্রম এখনো শুরু হয়নি। পুলিশ সদর দপ্তর থেকে এখনো কোনো নির্দেশনা দেওয়া হয়নি।

সিএমপি গোয়েন্দা (উত্তর ও দক্ষিণ) উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) সাদিরা খাতুন বলেন, গত বৃহস্পতিবার থেকে অফিসে জয়েন্ট করেছি। আমাদের অভিযান বন্ধ রয়েছে।

সিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) কাজী মো. তারেক আজিজ  বলেন, আগামীকাল শনিবার থেকে হালিশহর, ডবলমুরিং ও কোতোয়ালী (থানা প্রাঙ্গণে) থানার কার্যক্রম সীমিত পরিসরে শুরু হবে। একইদিন ইপিজেড থানার কার্যক্রম সীমিত পরিসরে নিউমুরিং ফাঁড়িতে শুরু হবে। এছাড়াও পতেঙ্গা থানার কার্যক্রম শুরু করার জন্য নতুন ভবন খোঁজা হচ্ছে।

সিএমপি সূত্রে জানা যায়, যেসব থানায় হামলা হয়নি বা কম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, সেসব থানার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। আর যেসব থানায় হামলা-ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে, সেসব থানায় পুলিশ সদস্যরা এলেও সেখানে পুলিশের বসার মতো অবস্থা ছিল না। তাই সিএমপির ৫ থানায় এখনো কার্যক্রম শুরু হয়নি ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর গত সোমবার বিকেল থেকে বন্দরনগরী অনেক থানায় হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। পুড়িয়ে দেওয়া হয় থানা-পুলিশের কাজে ব্যবহৃত গাড়ি। অনেক জায়গায় অস্ত্রসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম ও নথি লুট হয়। এরপর পুলিশি ব্যবস্থা প্রায় ভেঙে পড়ে।