অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নিলেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাত ৯টা ২০ মিনিটে ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে শপথ পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য হিসেবে শপথ নেন ১৩ জন।
অন্তর্বর্তী সরকারের শপথ নেয়া ১৩ উপদেষ্টা হলেন- ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ, ড. আসিফ নজরুল, আদিলুর রহমান খান, হাসান আরিফ, তৌহিদ হোসেন, সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, মো. নাহিদ ইসলাম (ছাত্র প্রতিনিধি), আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া (ছাত্র প্রতিনিধি), ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন, ফরিদা আখতার, ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন, নুরজাহান বেগম এবং শারমিন মুরশিদ।
শপথ গ্রহণের কথা থাকলেও ঢাকার বাহিরে অবস্থান করায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে পারেননি সুপ্রদিপ চাকমা, বিধান রঞ্জন রায় এবং ফারুকী আযম।
শপথ শুরুর আগে ছাত্রদের অভ্যুত্থানে শহীদদের স্মরণে বঙ্গভবনে উপস্থিত সবাই এক মিনিট নীরবতা পালন করেন।
উপদেষ্টা পরিষদের ১৬ সদস্য হলেন–বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর সালেহ উদ্দিন আহমেদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল, মানবাধিকার কর্মী আদিলুর রহমান খান, সাবেক পররাষ্ট্রসচিব তৌহিদ হোসেন, পরিবেশকর্মী ও আইনজীবী সৈয়দা রেজওয়ানা হাসান, সাবেক রাষ্ট্রদূত সুপ্রদিপ চাকমা, সাবেক নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার (অব.) জেনারেল এম সাখাওয়াত হোসেন, হাসান আরিফ, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক মো. নাহিদ ইসলাম, গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তির ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া, গণবিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য ফরিদা আখতার, বিধান রঞ্জন রায়, হেফাজতে ইসলামের সাবেক নায়েবে আমির আ ফ ম খালিদ হাসান, নুরজাহান বেগম, নির্বাচন পর্যবেক্ষক শারমিন মুরশিদ ও ফারুকী আযম।
এর আগে দুপুর ২টা ১১ মিনিটে ড. ইউনূসকে বহনকারী ফ্লাইটটি হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। এ সময় বিমানবন্দরে ড. ইউনূসকে স্বাগত জানান সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানসহ তিন বাহিনীর প্রধান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা, নির্বাচন পর্যবেক্ষণকারী, ব্রতীর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শারমিন মুরশিদ ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা।
দেশের ক্রান্তিলগ্নে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রধান হিসেবে শপথ নিয়েছেন নোবেলজয়ী প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস। চট্টগ্রাম থেকে ইতোপূর্বে নির্বাচিত রাজনৈতিক সরকার, তত্ত্বাবধায়ক সরকারে একাধিকজন মন্ত্রী-উপদেষ্টা হলেও সরকারপ্রধানের সর্বোচ্চ এ পদে ড. মুহাম্মদ ইউনূসই প্রথম।
১৯৭৬ সালে হাটহাজারীর জোবরা গ্রাম থেকে দেশের দারিদ্র বিমোচনের স্বপ্ন নিয়ে যাত্রা প্রফেসর ড. মুহম্মদ ইউনূসের। তাঁর এ স্বপ্নের উদ্যোগ ছড়িয়ে যায় বিশ্বব্যাপী। শান্তিতে নোবেল জয়, জাতিসংঘের ‘চ্যাম্পিয়ন অব গ্লোবাল চেঞ্জ’সহ দেশি-বিদেশি আন্তর্জাতিক কয়েকশো পুরস্কার তাঁর ঝুলিতে।