চট্টগ্রাম তথা বাংলাদেশের গর্ব নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনুসকে প্রধান করে একটি অর্ন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে (৬ আগস্ট) রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে তিন বাহিনীর প্রধানগণ ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কারীদের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়।
গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব জয়নাল আবেদিন। তিনি বলেন, রাষ্ট্রপতির সঙ্গে তিন বাহিনীর প্রধান ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধিদলের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক আসিফ নজরুল ও একই বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ তানজীমউদ্দিন খান। রাত ১১টায় সমন্বয়কেরা বের হলেও এই দুই শিক্ষক, তিন বাহিনীর প্রধান ও এ কে আজাদ তখনো বঙ্গভবনের ভেতরে অবস্থান করছিলেন।
এর আগে দেশের বর্তমান পরিস্থিতি ও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের রূপরেখা নিয়ে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে আলোচনার জন্য মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) সন্ধ্যা ৬টার পরপরই বঙ্গভবনে যান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ১৩ সমন্বয়ক। এরপর এমন সিদ্ধান্ত এল।
এরপর সন্ধ্যা ৭টা ৪০ মিনিটে বঙ্গভবনে প্রবেশ করেন সেনাপ্রধান, নৌপ্রধান ও বিমান বাহিনীর প্রধান। রাষ্ট্রপতির সঙ্গে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ১৩ সমন্বয়ক ও তিন বাহিনীর প্রধানের আলোচনার পরই এ সরকার গঠন করা হয়।
সোমবার (৫ আগস্ট) দুপুরে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। তার সঙ্গে ছোট বোন শেখ রেহানাও দেশত্যাগ করেন। এর পরপরই মন্ত্রিসভা বিলুপ্ত হয়।
শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। ভাষণে তিনি বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করে দেশ পরিচালনা করা হবে।
এদিকে মঙ্গলবার জাতীয় সংসদ বিলুপ্ত ঘোষণা করেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। বঙ্গভবন থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।