সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুরে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীরা থানায় হামলা করে পিটিয়ে নির্মমভাবে ১৩ জন পুলিশ সদস্যকে হত্যা করেছে।
রোববার ( ৪ আগস্ট) বিকেলে থানা ঘেরাও করে পুলিশ সদস্যদের ওপর হামলা করা হয়।
পুলিশ সদর দপ্তর এবং রাজশাহী বিভাগের অতিরিক্ত ডিআইডি বিজয় বসাক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
থানার সামনে ও ভেতরে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ে রয়েছে নিহতদের মরদেহ। রোববার সন্ধ্যা পৌনে ৭টায় এ প্রতিবেদন লেখার সময় সেখানে পড়ে থাকা মরদেহগুলো উদ্ধার করা হয়নি। জেলা সদর থেকে পুলিশ এনে মরদেহ উদ্ধারের চেষ্টা চলছে বলে পুলিশ সুপার অফিস সূত্রে জানা গেছে। মরদেহের নাম, পরিচয় বা পদবী শনাক্ত হয়নি। এ ঘটনায় আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতাকর্মীরা আতঙ্কে রয়েছেন।
এনায়েতপুর হাট কমিটির সহ-সভাপতি মোকতার হোসেন বলেন, ‘বেলা ১১টার দিকে তিন থেকে চার হাজার আন্দোলনকারী ও বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মী থানা ঘেরাওয়ের পর ভাঙচুর শুরু করে। একপর্যায়ে পুলিশ ছাদে উঠে আত্মরক্ষায় রাবার বুলেট, টিয়ার শেল ও গুলি ছুড়লে অর্ধশতাধিক আন্দোলনকারী আহত হয়। পরে তারা থানার ভেতরে ঢুকে পুলিশ সদসদের ওপর চড়াও হয়। এ সময় দেশীয় অস্ত্র ও লাঠিসোঁটা দিয়ে পুলিশ সদসদের বেধড়ক পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। আহত অবস্থায় একে একে সবাই থানা প্রাঙ্গণে বিনা চিকিৎসায় মারা যান।’
এনায়েতপুর থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক, সৌদিয়া চাঁদপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান রাশেদুল হাসান সিরাজ বলেন, ‘আন্দোলনকারীরা এ মুহূর্তে নেই। দ্রুত মরদেহগুলো উদ্ধার করা দরকার। নতুবা রাতের অন্ধকারে আন্দোলনকারীরা সেগুলো গুম করতে পারে। যতদূর জেনেছি, থানায় ৩৬ জন পুলিশ সদস্য ছিলেন। হয়তো আশেপাশে আরও কয়েকজন আহত অবস্থায় পালিয়ে বা ভেতরেও থাকতে পারেন। তাদেরও খুঁজে বের করা উচিত। ’
সিরাজগঞ্জ পুলিশ সুপার আরিফুর রহমান মন্ডল বলেন, এনায়েতপুর থানার ঘটনাটি মর্মান্তিক। আন্দোলনকারীদের মারধরে নিহত পুলিশ সদস্যদের নাম-পরিচয় ও পদবী শনাক্ত এবং মরদেহ উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।