চট্টগ্রামে আগ্রাসী থাবা বসাতে শুরু করেছে করোনাভাইরাস। অতীতের সব রেকর্ড ভেঙ্গে ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছে ৭১৩ জন। মারা গেছে ৯ জন।
সোমবার (৭ জুলাই) দিবাগত রাতে সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
তথ্য অনুযায়ী বুধবার ২৪ ঘণ্টায় ২ হাজার ১০৯ জনের নমুনা পরীক্ষায় নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হন ৭১৩ জন। শতকরা হিসাবে এ হার ৩৫ শতাংশ।
একইদিনে করোনা মারা যাওয়া ৯ জনের মধ্যে নগরের ২ জন ও উপজেলায় ৭ জন। এ নিয়ে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭৪৪ জনে। আক্রান্ত ৭১৩ জনের মধ্যে ৪৭৭ জন নগরের ও ২৩৬ জন উপজেলার অধিবাসী। এ নিয়ে চট্টগ্রামে মোট শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬২ হাজার ৯১৩ জন।
এদিন উপজেলা পর্যায়ে আক্রান্তের শীর্ষে উঠে আসে হাটহাজারী। এখানে শনাক্ত হয় ৫৮ জন। এর পর আছে- সীতাকুণ্ডে ৩৩ জন,রাউজানে ২৭ জন, ফটিকছড়িতে ২০ জন, মিরসরাইয়ে ১৭ জন, সন্দ্বীপে ১৫ জন, বোয়ালখালীতে ১৪ জন, চন্দনাইশে ১৩ জন, সাতকানিয়ায় ১২ জন, রাঙ্গুনিয়ায় ৯ জন, লোহাগাড়ায় ৭ জন, আনোয়ারায় ৬ জন ও বাঁশখালীতে ৫ জন।
বুধবার ১১টি ল্যাবে নমুনা পরীক্ষা করা হয়। ল্যাবগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেসে (বিআইটিআইডি) ৬৪৭ জনের মধ্যে ১৪৯ জন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ১২৭ জনের মধ্যে ৭৫ জন, চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) ল্যাবে ১৭৮ জনের মধ্যে ৬২ জন, চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় (সিভাসু) ল্যাবে ১৬০ জনের মধ্যে ৫৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়।
এছাড়া, ৪৭৬ জনের এন্টিজেন টেস্টে ১৮৪ জন, ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ১২২ জনের মধ্যে ৪৪ জন, শেভরণ ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরিতে ১৮২ জনের মধ্যে ৪৫ জন, চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল ল্যাবে ৩৮ জনের মধ্যে ২৫ জন, জেনারেল হাসপাতালের রিজিওনাল টিবি রেফারেল ল্যাবরেটরিতে (আরটিআরএল) ৩৮ জনের মধ্যে ২৪, এপিক হেলথ কেয়ার ল্যাবে ১০১ জনের মধ্যে ৫২ জনের করোনা পজেটিভ ফল পাওয়া যায়। তবে কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ হাপসপাতালে ৪০ জনের মধ্যে কারোই করোনা শনাক্ত হয়নি।