চট্টগ্রাম নগরের বহদ্দারহাট এলাকায় আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশ ও সরকারদলীয় নেতাকর্মীর সংঘর্ষে ৩জন গুলিবিদ্ধ হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
শনিবার (৩ আগস্ট) নগরের নিউমার্কেট মোড়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচি শেষে মিছিল নিয়ে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার পর বহদ্দারহাট পৌঁছলে এ সংঘর্ষ শুরু হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী একজন বলেন, ‘সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে আন্দোলনকারীরা মিছিল নিয়ে বহদ্দারহাটের দিকে আসলে পুলিশ তাদের নিয়ন্ত্রণ করতে মাঠে নামে। এ সময় আন্দোলনকারীদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষ শুরু হয়। সরকারদলীয় নেতাকর্মীরাও সেখানে অবস্থান নিয়েছেন।’
এদিকে, সংঘর্ষের সময় বারইপাড়ার মুখে পিঠে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন আবদুস সাত্তার নামে এক যুবক। তবে কার গুলিতে তিনি আহত হয়েছেন তাৎক্ষণিকভাবে তা জানা যায়নি। তাকে রিকশায় করে পরবর্তীতে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (চমেক) নিয়ে যাওয়া হয়। এছাড়া তাৎক্ষণিকভাবে গুলিবিদ্ধ অন্য দুজনের পরিচয় জানা যায়নি।
বিষয়টি নিশ্চিত করে চমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তসলিম উদ্দিন বলেন, ‘গুলিবিদ্ধ অবস্থায় আবদুস সাত্তার নামে এক যুবককে নিয়ে আসা হয়েছে। তার পিঠে গুলি লেগেছে। তবে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক নয়।’
নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার কাজী মো. তারেক আজিজ বলেন, ‘বহদ্দারহাটে সন্ত্রাসীরা অবস্থান নিয়েছে। সেখানে কোনো ছাত্র নেই। বর্তমানে পুলিশ তাদের নিয়ন্ত্রণে সর্বাত্মক চেষ্টা করছে। এরই মধ্যে চট্টগ্রাম-১০ আসনের সংসদ সদস্যের অফিসে, শিক্ষামন্ত্রী এবং মেয়র মহোদয়ের বাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটেছে।’
এর আগে মিছিলের একটি অংশ থেকে টাইগারপাস মোড়ে পুলিশ বক্স ভাঙচুর, ওয়াসার মোড়ে এমপি মহিউদ্দিন বাচ্চুর অফিসে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর এবং দুই নম্বর গেট মেয়র গলির চশমা হিলে শিক্ষামন্ত্রীর বাড়িতে হামলা চালানো হয়। পরে বহদ্দারবাড়ির মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরীর বাসভবনেও হামলা হয়েছে।