প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, গণভবনের দরজা খোলা। কোটা আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আমি বসতে চাই। তাদের কথা শুনতে চাই। আমি সংঘাত চাই না। এ ছাড়া কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সংঘাতে ঘটনায় আটক সাধারণ শিক্ষার্থীদের মুক্ত করে দেওয়ার নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শনিবার (৩ আগস্ট) গণভবনে পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে এ কথা বলেন তিনি।
এদিকে শিক্ষার্থীদের ৯ দফা দাবিতে শুক্রবারে আয়োজিত গণমিছিলে পুলিশ, ছাত্রলীগ-যুবলীগের হামলার অভিযোগ এসেছে। এতে শিক্ষার্থী ও সাধারণ জনতা হতাহত হয়েছে দাবি করে এর প্রতিবাদে আজ শনিবার সারাদেশে বিক্ষোভ মিছিলের ডাক দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। রোববার থেকে সর্বাত্মক অসহযোগ আন্দোলনের ডাকও দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। এরই মধ্যে এ ঘোষণা দিলেন প্রধানমন্ত্রী।
এর আগে শুক্রবার (২ আগস্ট) রাতে গণভবনে এক জরুরি বৈঠক ডেকে চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলনের সমন্বয়কদের সঙ্গে বসতে দলীয় তিন নেতাকে দায়িত্ব দেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ ও কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিমের ওপর দায়িত্ব দেওয়া হয়।
একইসঙ্গে দায়িত্বপ্রাপ্ত তিন নেতার একটি টিম করে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে মতবিনিময় করার দায়িত্ব দেন প্রধানমন্ত্রী। এই টিমে ১৪ দলীয় জোটের সিনিয়র নেতাদের যুক্ত করারও নির্দেশনা দেন তিনি
আগামীকাল রোববার (৪ আগস্ট) বিকেল সাড়ে ৪টায় গণভবনে সাংস্কৃতিক কর্মীদের সঙ্গে বৈঠকের কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর।