কর্ণফুলী থানাধীন চরলক্ষ্যা থেকে নাছিমা বেগম (৩৮) নামে এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মরদেহের শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। পুলিশের ধারণা নাছিমাকে হত্যা করে তার স্বামী পালিয়েছে।
শুক্রবার (৫ জুলাই) সকালে উপজেলার চরলক্ষ্যা ইউনিয়নের তিন নম্বর ওয়ার্ডের খালেক মেম্বার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। নাছিমার চরলক্ষ্যা ইউনিয়নের সেকান্দর মিয়ার মেয়ে। নাছিমা নগরীর সিইপিজেডে ইয়ংওয়ানে পোশাক কর্মী হিসেবে কর্মরত ছিলেন । অন্যদিকে নাছিমার স্বামী মোহাম্মদ সোলায়মানের বাড়ি পটিয়া উপজেলার শান্তিরহাটের মালিয়াপাড়া এলাকায়।
পুলিশ জানায়, নাছিমা সোলায়মানের দ্বিতীয় স্ত্রী। তার আগের ঘরের ছেলে কামরুল হাসান ইমন (১৮) এবং মেয়ে কানিজ ফাতেমা ইমুকে (১৩) নিয়ে স্বামীসহ চরলক্ষ্যা গ্রামের মহিউদ্দিনের ভাড়া ঘরে বসবাস করতেন। গত কয়েকদিন ধরে স্বামী স্ত্রী দুজনের মধ্যে মনোমালিন্য ও পারিবারিক কলহ চলছে। বৃহস্পতিবার রাত একটার দিকে স্বামীর সাথে নাছিমার ঝগড়া হয়। মেয়ে ইমু পাশের রুম থেকে তা শুনতে পায়। সকাল ৮ টার দিকে মেয়ে ঘুম থেকে উঠে দেখে তার মা নাছিমা সামনের রুমে গায়ে কম্বল জড়িয়ে শুয়ে আছেন।মা ঘুমাচ্ছেন মনে করে মেয়ে আর তার মাকে ডাকেনি। পরে ছেলে ইমন ঘরে এসে তার মা’কে ডাকলে কোন সাড়া-শব্দ না পেয়ে হাত-পা ধরে দেখে হাত-পা ঠান্ডা হয়ে আছে। ছেলে তার মামা-মামী, নানা-নানিদের বাড়িতে ডেকে আনলে তারা স্ট্রোক করে নাছিমা মারা গেছে মনে করে লাশ দাফনের গোছলের ব্যবস্থা করেন। গোছল কেরাতে গিয়ে প্রতিবেশীরা দেখেন নাছিমার শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাতে চিহ্ন রয়েছে। এতে সন্দেহ হলে ৯৯৯ এ কল করে পুলিশে খবর দেয়া হয়। পরে কর্ণফুলী থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য প্রেরণ করেন।
কর্ণফুলী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. জহির হোসেন বলেন, গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চমেক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। লাশের শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। পুলিশ তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে স্বামী সোলায়মানকে আটক করতে পারেনি। সে পালিয়ে গেছে। তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।