‘সাইফুল আলম বাবু’ পুনরায় সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত

চট্টগ্রাম জেলা শিল্পকলা একাডেমী নির্বাচন-২০২৪ ’র ফলাফল ঘোষণা

চট্টগ্রাম জেলা শিল্পকলা একাডেমী নির্বাচন-২০২৪’র ফলাফল ঘোষিত হয়েছে। ঘোষিত ফলাফলে সাধারণ সম্পাদক পদে পুনরায় নির্বাচিত হয়েছেন বিশিষ্ট নাট্যজন ও চট্টগ্রাম শিল্পকলা একাডেমির প্রথম নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক সাইফুল আলম বাবু । তিনি পেয়েছেন ৩৩৯ ভোট । তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি আবৃত্তি শিল্পী মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম (হাসান জাহাঙ্গীর ) পেয়েছেন ২২৩ ভোট।  ১১৬ ভোটের ব্যবধানে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন বাবু।

শনিবার (৮ জুন ) সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম জেলা শিল্পকলা একাডেমী নির্বাচন-২০২৪’র প্রিসাইডিং অফিসার পাঁচলাইশ থানা শিক্ষা অফিসার মু. আবদুল হামিদ এ ফলাফল ঘোষণা করেন। শনিবার সকাল ৯টা থেকে উৎসব মুখর পরিবেশে ভোট গ্রহণ শুরু হয়ে একটানা চলে বিকেল তিনটা পর্যন্ত।

নির্বাচনে সহ-সভাপতি দুটি পদে অঞ্চল কুমার চৌধুরী ও এসকেএস মাহমুদ (আলোক মাহমুদ) নির্বাচিত হয়েছেন। অঞ্চল কুমার চৌধুরী পেয়েছেন ২৫৭ ভোট ও এসকেএস মাহমুদ পেয়েছেন ২৪৯ ভোট। এই পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা তাপস শেখর পেয়েছেন ২৪৩ ভোট, নজরুল সংগীত শিল্পী দীপেন কান্তি চৌধুরী পেয়েছেন ২০৭ ভোট।

এদিকে যুগ্ম সম্পাদক পদে সংগীত শিল্পী আলাউদ্দিন তাহের ও কঙ্কন দাশ নির্বাচিত হয়েছেন। আলাউদ্দিন তাহের পেয়েছেন ২৭৮ ভোট ও  কঙ্কন দাশ পেয়েছেন ২৫৭ ভোট। যুগ্ম সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা অন্যদের মধ্যে মো. শহিদুল করিম চৌধুরী নিন্টু পেয়েছেন ১৭৬ ভোট, মু. সাজ্জাত হোসেন ১২৭ ভোট, কমল দাশ ১০২ ভোট ও মো. জামশেদ উদ্দিন পেয়েছেন ৩১ ভোট।

কার্যকরী  সদস্য পদে বাপ্পা চৌধুরী ২২৭, বিশ্বজিৎ পাল ২১৭ ও রহিমা খাতুন লুনা ১৯৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাদের প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী মো. সেলিম রেজা সাগর পেয়েছেন ১৮৬ ভোট, মোহাম্মদ আলী ( আলী প্রয়াস) ১৬৪ ভোট, রুবেল দাশ প্রিন্স ১৬০ ভোট, সামশুল হায়দার তুষার ১০০ ভোট, মো. আকরাম হোসেন ৭৪ ভোট, মো. হানিফ খন্দকার ৫৫ ভোট ও মো. আশিকুর রহমান পেয়েছেন ৪৩ ভোট।

চট্টগ্রাম জেলা শিল্পকলা একাডেমির কালচারাল অফিসার মো. মোসলেম উদ্দিন বলেন, এবারের নির্বাচনে ৬২৪ জন ভোটারের মধ্যে ৫৭০জন ভোট দিয়েছেন। এটি চট্টগ্রাম জেলা শিল্পকলা একাডেমির দ্বিতীয় নির্বাচন। প্রথম নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২০১৮ সালের ২১ জুলাই। তিন বছর মেয়াদ ছিল কমিটির। কিন্তু করোনার কারণে পরে নির্বাচন হয়নি। ২০২৩ সালে কমিটি বিলুপ্ত করে আহ্বায়ক কমিটি করা হয়। নির্বাচনে তিনটি বুথে প্রত্যেক প্রার্থীর তিনজন করে এজেন্ট ছিল। দুইজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করেন বলে জানান তিনি।