সৌদিফেরত এক প্রবাসীর ১৬ ভরি স্বর্ণ ছিনতাই চেষ্টার মামলায় খুলশী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আমিনুল ইসলাম ও তার সহযোগীর একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
সোমবার ২০ মে বিকেলে চট্টগ্রাম ৬ষ্ঠ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কাজী শরিফুল ইসলামের আদালত শুনানি শেষে এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ পুলিশ কমিশনার (প্রসিকিউশন) মো.মফিজ উদ্দীন।
তিনি বলেন, ‘প্রবাসী আবদুল খালেক থেকে ১৬ ভরি র্স্বণ ছিনতাইয়ের মামলায় গ্রেপ্তার বরখাস্তকৃত এসআই আমিনুল ইসলাম ও তার সহযোগী শহীদুল ইসলাম জাহেদের পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। আদালত শুনানি শেষে এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।’
এর আগে, সোমবার সকালে আসামি আমিনুল ইসলাম ও তার সহযোগী শহীদুল ইসলাম জাহেদকে আদালতে হাজির করা হয়। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও খুলশী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সুমিত বড়ুয়া দুজনেরই পাঁচদিনের রিমান্ড আবেদন করেন।
গ্রেপ্তার উপ-পরিদর্শক আমিনুল ইসলামের বাড়ি চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলায়। তিনি পুলিশে যোগ দেন ২০১২ সালে। আটক ওই সোর্সের নাম শহীদুল ইসলাম জাহিদ (৩৫)। এ ঘটনায় পলাতক আছে আরও একজন। আটক সোর্স জাহিদ নগরের বাকলিয়া থানার রাহাত্তারপুল এলাকার কেবি আমান আলী সড়কের বাসিন্দা।
প্রবাসী আবদুল খালেকের বাড়ি চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের দরবেশ হাট শেখ হাজীপাড়া এলাকায়। তিনি ২০ বছর ধরে সৌদিতে বসবাস করেন। গত ১২ মে তিনি দেশে আসেন। তবে প্রবাসে রেখে আসা ৮টি হাতের স্বর্ণের চুড়ি (প্রতিটির ওজন দুই ভরি করে ১৬ ভরি) রবিবার (১৯ মে) পরিচিত জনের মাধ্যমে দেশে আনা হয়। তিনি বিমানবন্দরে গিয়ে এসব চুড়িগুলো রিসিভ করে ৬ নম্বর রুটের বাসযোগে বাড়ি ফিরছিলেন।
ওইদিন বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে নগরের টাইগারপাস এলাকায় পৌঁছালে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে খুলশী থানার এসআই আমিনুল তাকে বাস থেকে নামিয়ে নেয়। এরপর একটি সিএনজি অটোরিকশায় তুলেন আমিনুল। এ সময় তার সঙ্গে আরও দুজন লোক ছিল। পরে তাকে আক্তারুজ্জামান ফ্লাইওভারে নিয়ে গিয়ে তার কাছে থাকা স্বর্ণালংকার অবৈধ বলে কাগজপত্র দেখতে চান। এক পর্যায়ে ৮টি স্বর্ণের চুড়ি কেড়ে নেয়। পরে আব্দুল খালেককে তিনটি ফেরত দিলেও অন্য পাঁচটি চুড়ি ছিনিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে বলেও জানা যায়। এক পর্যায়ে খালেক তাকে জাপটে ধরে। পরে স্থানীয় লোকজন এবং টহল পুলিশের সহায়তায় আমিনুল এবং সোর্স জাহেদকে আটক করা হয়।
এ ঘটনায় ওইদিনগত রাতেই ভুক্তভোগী প্রবাসী আবদুল খালেক বাদী হয়ে খুলশী থানায় উপ-পরিদর্শক আমিনুল ইসলামসহ তিনজনকে আসামি করে একটি ছিনতাই মামলা দায়ের করেন।