বঙ্গোপসাগরে ফিশিং বোটে ডাকাতির চেষ্টাকালে আগ্নেয়াস্ত্র ও গোলাবারুদসহ ৩০ জলদস্যুকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-৭ । জব্দ করা হয়েছে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত ২টি ট্রলারও।
সোমবার ৯১২ ফেব্রুয়ারি) ভোরে বঙ্গোপসাগরে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-৭ এর অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল মোঃ মাহবুব আলম বলেন, সম্প্রতি বঙ্গোপসাগরের গভীরে ডাকাতির পর অনেক জেলেদের হত্যা করেছিলো জলদস্যুরা। সেসময় আমরা অনেক জলদস্যুকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছিলাম।
সবশেষ আমরা রোববার জানতে পারি ডাকাত দলটি রাত ১১টার দিকে গণডাকাতির উদ্দেশ্যে ঘাট এলাকা ত্যাগ করে। পরবর্তীতে র্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা দল এবং আমাদের একটি আভিযানিক দল ডাকাতদের ট্রলারটি সনাক্ত করতে সক্ষম হয়। এরপর তাদের আমরা গ্রেপ্তার করি এবং তাদের কাছে থাকা ২টি ট্রলার থেকে ৮টি দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র এবং ৫টি কার্তুজসহ ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত বিপুল পরিমান সরাঞ্জাম উদ্ধার করি।
র্যাব জানিয়েছে, গ্রেপ্তার শাহেদ মাঝী প্রথম গ্রুপের দলনেতা। সে কুতুবদিয়া এলাকার বাসিন্দা। তার দলের কাজ ছিল ডাকাতি করার জন্য অস্ত্র, বোট, জাল এবং আনুসাঙ্গিক যে সকল সরঞ্জামাদি লাগতো সেগুলো সরবরাহ করা। র্যাব আরও জানায়, প্রায় ৩৫ থেকে ৪০ জনের ৩টি সশস্ত্র ডাকাত চক্র ভোলা, বরিশাল, কুতুবদিয়া এবং আনোয়ারা এলাকায় একত্রিত হয়ে সাগরে বড় পরিসরে দস্যূতার পরিকল্পনা করছে। চক্রটির পরবর্তী ১০-১২ দিনের মধ্যে প্রায় ১৫-২০টি ট্রলারে ডাকাতি করার পরিকল্পনা ছিল। ডাকাতি শেষে লুটপাটকৃত মাছ ও অন্যান্য সরঞ্জামাদি ভোলা ও বরিশাল অঞ্চলের দিকে নিয়ে বিক্রয় করা হতো। পরবর্তীতে লভ্যাংশ আনোয়ারা-কুতুবদিয়া এলাকার জলদস্যুদের নিকট মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে পৌঁছে দেয়া হত।
এই ডাকাত দল মূলত তিনটি পর্বে ভাগ হয়ে তাদের দস্যূতার কার্যক্রম পরিচালনা করত।
গ্রেফতারকৃত আসামি এবং উদ্ধারকৃত আগ্নেআস্ত্র, গোলাবারুদ এবং সরঞ্জামাদি পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।