চট্টগ্রামের ১৬ আসনে বিজয়ী সংসদ সদস্যরা, পাঁচ নতুন মুখ

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রামের ১৬টি সংসদীয় আসনে বেসরকারীভাবে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের ১২ জন, স্বতন্ত্র ঈগল প্রতীকের দুইজন, কেটলি প্রতীকের একজন এবং জাতীয় পার্টির লাঙল প্রতীকের একজন। দিনভর ভোট গ্রহণ ও গননা শেষে গতরাতে ১৬টি আসনের ফলাফল ঘোষণা করেন সংশ্লিস্ট রিটার্নিং অফিসাররা। ১৬ আসনে এবার পাঁচজন নতুন মুখ সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন।

চট্টগ্রাম-১ মীরসরাই আসনে ৮৯০৬৪ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মাহবুবুর উর রহমান। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী মোঃ গিয়াস উদ্দিন পেয়েছেন ৫২৯৯৫ ভোট।

চট্টগ্রাম-২ ফটিকছড়ি আসনে ১০০৬৮৫ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী খাদিজাতুল আনোয়ার সনি। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি স্বতন্ত্র প্রার্থী এস এম আবু তৈয়ব পেয়েছেন ৩৬৫৬৬ ভোট।

চট্টগ্রাম-৩ সন্দ্বীপ আসনে ৫৪৭৫৬ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মাহফুজুর রহমান মিতা। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী স্বাচিপ সভাপতি ডা.মো জামাল উদ্দিন চৌধুরী পেয়েছেন ২৮০৭০ ভোট।

চট্টগ্রাম-৪ সীতাকুণ্ড -নগর আংশিক আসনে ১,৪২,৭০৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন এসএম আল মামুন (নৌকা) এবং নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মো. দিদারুল কবির (লাঙল) ৪,৮৮০ ভোট।

চট্টগ্রাম-৫ হাটহাজারী-নগর আংশিক আসনে ৫০,৯৭৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন জাতীয় পার্টির ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ (লাঙল), নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী মুহাম্মদ শাহজাহান চৌধুরী (কেটলি) ৩৬,২৫১ ভোট।

চট্টগ্রাম-৬ রাউজান আসনে ২২১৫৭২ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির প্রার্থী মোহাম্মদ শফিক উল আলম চৌধুরী পেয়েছেন ২৬৫৪ ভোট।

চট্টগ্রাম-৭ রাঙ্গুনিয়া-বোয়ালখালী আংশিক আসনে ১৯৮৯৭৬ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ড. হাছান মাহমুদ। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ইসলামী ফ্রন্টের প্রার্থী মুহাম্মদ ইকবাল হাসান পেয়েছেন ৯৩০১ ভোট।

চট্টগ্রাম-৮ বোয়ালখালী-নগর আংশিক আসনে ৭৮,২৬৬ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী আবদুচ ছালাম (কেটলি), নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী বিজয় কুমার চৌধুরী (ফুলকপি) ৪১,৫০০ ভোট।

চট্টগ্রাম-৯ কোতোয়ালী-বাকলিয়া আসনে ১,৩০,৯৯৩ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন ব্যরিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী (নৌকা) এবং নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সানজীদ রশীদ চৌধুরী (লাঙল) ১,৯৮২ ভোট।

চট্টগ্রাম-১০ ডবলমুরিং-পাহাড়তলী আসনে ৫৯,০২৪ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন মো. মহিউদ্দিন বাচ্চু (নৌকা), নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ মনজুর আলম (ফুলকপি) ৩৯,৫৩৫ ভোট।

চট্টগ্রাম-১১ বন্দর-পতেঙ্গা আসনে ৫১,৪৯৪ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন এম আবদুল লতিফ (নৌকা), নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী জিয়াউল হক সুমন (কেটলি) ৪৬,৫২৫ ভোট।

চট্টগ্রাম-১২ পটিয়া আসনে ১২০৩১৩ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মোতাহেরুল ইসলাম। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী শামসুল হক চৌধুরী ৩৫২৪০ পেয়েছেন ভোট।

চট্টগ্রাম-১৩ কর্ণফুলী-আনোয়ারা আসনে ১৮৭৯২৫ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ইসলামী ফ্রন্টের আবুল হোসেন পেয়েছেন ৫১৪১ ভোট।

চট্টগ্রাম-১৪ চন্দনাইশ আসনে ৭১১২৫ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী নজরুল ইসলাম চৌধুরী। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল জব্বার চৌধুরী পেয়েছেন ৩৬৮৮৪ ভোট।

চট্টগ্রাম-১৫ সাতকানিয়া-লোহাগাড়া আসনে ৮৫৬২৮ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল মোতালেব। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আবু রেজা মোহাম্মদ নেজামউদ্দীন নদভী পেয়েছেন ৩৯২৫২ ভোট।

চট্টগ্রাম-১৬ বাঁশখালী আসনে ৫৭৪৯৯ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী মুজিবুর রহমান। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী আবদুল্লাহ কবির ৩২২২০ পেয়েছেন ভোট।