তুলার গুদামের আগুন নেভাতে যোগ দিলেন সেনাসদস্যরা

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে তুলার গুদামের আগুন নেভাতে ফায়ার সার্ভিসের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন সেনাসদস্যরা। জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামানের অনুরোধে সেনাবাহিনীর টিম ঘটনাস্থলে আসে।

শনিবার (১১ মার্চ) রাত ৯টায় লেফটেন্যান্ট কর্নেল মাহমুদের নেতৃত্বে একটি ফায়ার ফাইটিং ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে কাজ শুরু করেছেন বলে জানান ঘটনাস্থলে থাকা জেলা প্রশাসনের নেজারত ডেপুটি কালেক্টর (এনডিসি) মো. তৌহিদুল ইসলাম।

প্রায় ৮ ঘণ্টায়ও আগুন নিয়ন্ত্রণে না আসায় সেনাবাহিনীর ২৪ পদাতিক ডিভিশনের জেনারেল অফিসার কমান্ডিং (জিওসি) ও চট্টগ্রামের এরিয়া কমান্ডারের কাছে সহায়তা চান জেলা প্রশাসক। ঘটনাস্থলে জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে পুলিশ, ফায়ার সার্ভিসসহ বিভিন্ন সরকারি সংস্থার প্রতিনিধিরা অবস্থান করছেন।

এর আগে, জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান সাংবাদিকদের বলেন, ‘ফায়ার সার্ভিস আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু এখানে আশপাশে কোথাও পানি নেই। একটা খাল আছে, সেখানে পানি নেই। দূর থেকে পানি এনে কাজ করতে হচ্ছে, এটা সমস্যা। আমরা সেনাবাহিনীর চট্টগ্রামের জিওসি মহোদয়ের সহায়তা চেয়েছি। প্রয়োজনে সেনাবাহিনী, বিমানবাহিনী ও নৌবাহিনীর পানির ভাউচারগুলো নিয়ে যদি উনারা সহযোগিতা দেন, তাহলে আগুন দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনা যাবে বলে মনে করছি।’

শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সীতাকুণ্ড উপজেলার বড় কুমিরায় নেমসন কনটেইনার ডিপোর সামনে একটি তুলার গুদামে আগুন লাগে। এস এল শিল্পগ্রুপের মালিকানাধীন ‘ইউনিটেক্স’ কারখানা ব্যক্তি মালিকানাধীন গুদামটি ভাড়ায় নিয়ে তুলা রেখেছিল বলে জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত নয় ঘণ্টা ধরে ফায়ার সার্ভিসের ১১টি ইউনিট চেষ্টা চালিয়েও আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেনি। আশপাশে পানির উৎস না থাকায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে না পারার কথা জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা।

এদিকে বেলা ১২টা থেকে ঘটনাস্থলে আছেন সীতাকুণ্ড উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাহাদত হোসেন। তিনি জেলা প্রশাসককে জানিয়েছেন, গত এক সপ্তাহ ধরে গুদামটিতে ওয়েল্ডিংয়ের কাজ চলছিল। ওয়েল্ডিংয়ের স্ফূলিঙ্গ থেকেই আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

sitakunda fire