মাইজভাণ্ডার দরবার শরীফ গাউছিয়া হক মঞ্জিলের সাজ্জাদনশীন ও শাহানশাহ হজরত সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভাণ্ডারী ট্রাস্টের ম্যানেজিং ট্রাস্টি শাহসুফী সৈয়দ মোহাম্মদ হাসান মাইজভাণ্ডারী বলেন, একবিংশ শতাব্দীর অসম্ভবের সম্ভাবনার যুগের মানুষ আমরা। তথ্য-প্রযুক্তির অবারিত গতি পৃথিবীবাসী মানুষকে করেছে দেশ-জাতি-ধর্ম-বর্ণের ঊর্ধ্বে বিশ্বসভার সদস্য। সামগ্রিক অর্থে বর্তমান সময়ে পৃথিবীর সকল মানুষ এক ছাদের বাসিন্দা। বিষয়টি অনেক আগেই কবি আল্লামা শেখ সাদী উল্লেখ করে বলেছেন, ‘আদম সন্তানেরা একটি দেহের অঙ্গ প্রত্যঙ্গের মতো। কেননা তাদের সৃষ্টির মূল উৎস একটাই। একটি অঙ্গে যখন যন্ত্রণা হয় অন্য অঙ্গগুলোর তখন স্বস্তি থাকে না। অন্যদের ব্যথায় যদি নির্বিকার থাকো তাহলে তুমি মানুষ নামে আখ্যায়িত হবার যোগ্য নও।’ কিন্তু বর্তমানে খোদার পৃথিবীতে আমরা বিভক্ত, পারস্পরিক হানাহানি দ্বন্দ্ব সংঘাত হিংসা-বিদ্বেষ বিদ্রুপতায় অতিষ্ঠ। পৃথিবীকে আমরাই করেছি কলঙ্কিত। এই ধরনের নানামুখী নেতিবাচক আচরণ থেকে মানবসমাজকে মুক্ত রাখার অঙ্গীকার নিয়ে পৃথিবীর মানুষের শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের আহ্বান হচ্ছে মাইজভাণ্ডারীয়া ত্বরিকা। এই ত্বরিকায় অত্যন্ত সু¯স্পষ্টভাবে রয়েছে বিশ্বজনীন দৃষ্টিভঙ্গী।
বৃহস্পতিবার (২ জুন) দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে সৈয়দ মোহাম্মদ হাসান মাইজভাণ্ডারী এসব কথা বলেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সভাপতি আলী আব্বাস।
প্রেস ক্লাব সভাপতি আলহাজ্ব আলী আব্বাস বলেন, সূফিবাদ এই দেশে ইসলাম প্রচার করেছে। খাজা মঈনুদ্দিন চিশতি, হযরত আহমদউল্লাহ মাইজভান্ডারী, হযরত জিয়াউল হক মাইজভান্ডারী, হযরত মাঈনুদ্দিন মাইজভান্ডারী, হযরত মোহাম্মদ হাসান মাইজভান্ডারীর ত্বরিকা এই দেশে ইসলাম প্রচারের পাশাপাশি সুফিবাদকে সমৃদ্ধ করে চলেছেন। তিনি বলেন, জিয়াউল হক মাইজভান্ডারী ট্রাস্ট সমাজের অনগ্রসর শ্রেণিকে স্বাবলম্বী করতে দেশব্যাপী ৬৯টি সেলাই প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, নয়টি স্বাস্থ্যাসেবা কেন্দ্রের মাধ্যমে ৬৫ হাজারের অধিক রোগীকে স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করেছেন। যা সমাজে দৃষ্টান্ত হয়ে আছে।
সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ফরিদ। যুগ্মসম্পাদক নজরুল ইসলামের সঞ্চালনায় শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য এবং মাইজভাণ্ডারী একাডেমির প্রাক্তন সভাপতি প্রফেসর ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সাবেক সাবেক সভাপতি কলিম সরওয়ার, সিনিয়র সহসভাপতি সালাহউদ্দিন মো. রেজা, সাংবাদিক ইউনিয়নের সিনিয়র সহসভাপতি রতন কান্তি দেবাশীষ, সাধারণ সম্পাদক ম শামসুল ইসলাম এবং বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের যুগ্ম মহাসচিব মহসিন কাজী।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথিকে প্রেস ক্লাবের পক্ষ থেকে সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানের শেষের দিকে দেশ ও জাতির কল্যাণে দোয়া ও মুনাজাত পরিচালনা করেন শাহসুফী সৈয়দ মোহাম্মদ হাসান মাইজভাণ্ডারী।
এ সময় প্রেস ক্লাবের অর্থ সম্পাদক রাশেদ মাহমুদ, সাংস্কৃতিক সম্পাদক নাসির উদ্দিন হায়দার, সমাজসেবা ও আপ্যায়ন সম্পাদক মো. আইয়ুব আলী, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আলীউর রহমান, কার্যকরী সদস্য শহীদুল্লাহ শাহরিয়ার, দেবদুলাল ভৌতিক, মনজুর কাদের মনজু, প্রবীণ সাংবাদিক মাহবুবুল আলম, মাইভান্ডারী একাডেমির কর্মকর্তা লায়ন আলহাজ্ব দিদারুল আলম চৌধুরী, প্রফেসর ড. মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন, প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন, ড. মাওলানা মোহাম্মদ জাফর উল্লাহ্, প্রফেসর ড. মীর মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন খালেদ চৌধুরী, মো. গোলাম রসুল, ড. হাফেজ মোহাম্মদ নুর হোসাইন, ড. মোহাম্মদ মোরশেদুল হক, ড. হাফেজ মুহাম্মদ আলতাফ হোসেন, মোকাম্মেল হোসেন খান, মোহাম্মদ শওকত হোসাইন, মীর মোহাম্মদ তরিকুল আলম, ডা. সাইফুদ্দিন মাহমুদ, এইচ এম রাশেদ খান, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব, চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়ন, চট্টগ্রাম হাউজিং সোসাইটি এবং চট্টগ্রাম ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক এবং বর্তমান নেতৃবৃন্দসহ বিপুল সংখ্যক প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক ও অনলাইন মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।