জামায়াতের নির্বাচনী জোটে যোগ দিল কর্ণেল অলির দল এলডিপি ও এনসিপি

অবশেষে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে নির্বাচনী জোটে যোগ দিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ও লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি)। এ নিয়ে জামায়াতের নেতৃত্বাধীন এই নির্বাচনী সমঝোতা মোট ১০টি দল নিয়ে গঠিত হচ্ছে।

রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি জানান জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমান। তিনি বলেন, বাংলাদেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে একটি শোষণ-বৈষম্যহীন, দুর্নীতিমুক্ত ও মানবিক বাংলাদেশ গড়তে তারা অঙ্গীকারবদ্ধ। এই লক্ষ্য বাস্তবায়নে আজ আরও দুটি রাজনৈতিক দল—কর্ণেল অলি আহমেদের নেতৃত্বাধীন এলডিপি এবং জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)—তাদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে।

ডা. শফিকুর রহমান জানান, কিছুক্ষণ আগে এনসিপির সঙ্গে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে এবং দলের পক্ষে নাহিদ ইসলাম সরাসরি তাদের সঙ্গে কথা বলেছেন। তিনি এনসিপির সিদ্ধান্ত আনুষ্ঠানিকভাবে জামায়াতকে জানিয়েছেন। এনসিপি নিজস্ব সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তাদের দলীয় সিদ্ধান্ত জনসমক্ষে জানাবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

জামায়াতের আমির বলেন, এটি একটি শক্তিশালী নির্বাচনী সমঝোতা। ৩০০ আসনে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে প্রায় সব আসনের সমঝোতা সম্পন্ন হয়েছে। দুটি দল শেষ পর্যায়ে এসে এই জোটে যুক্ত হওয়ায় অল্প কিছু আসনের বিষয় চূড়ান্ত করা বাকি আছে, যা পরবর্তীতে জানানো হবে।

তিনি আরও বলেন, এই রাজনৈতিক ঐক্য একটি দীর্ঘ প্রক্রিয়ার ফল। ২০০৮ সাল থেকে শুরু হওয়া আন্দোলন ও নিপীড়নের ধারাবাহিকতায় ২০২৪ সালে এসে তা পরিপূর্ণতা পেয়েছে। যুব সমাজের প্রত্যাশা পূরণ করা তাদের অন্যতম দায়িত্ব বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

নির্বাচন সামনে রেখে জামায়াতের আমির বলেন, নির্বাচনের আর দেড় মাসের মতো সময় বাকি আছে। সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতে সরকারকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হবে। সরকার ও নির্বাচন কমিশন সাংবিধানিক দায়িত্ব পালন করে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজন করবে—এমন প্রত্যাশাও ব্যক্ত করেন তিনি।

ডা. শফিকুর রহমান বলেন, এটিকে জোট বলুন বা না বলুন—এটি জোটের চেয়েও মজবুত একটি রাজনৈতিক ঐক্য। এটি শুধু নির্বাচনী নয়, বরং রাজনৈতিক ও দেশ গঠনের জোট। এই ১০ দলীয় নির্বাচনী সমঝোতায় একক কোনো দল নয়, বরং ন্যায্যতার ভিত্তিতে আসন বণ্টন করা হবে বলেও জানান তিনি।