“সময়মতো বিদেশে নেওয়া গেলে খালেদা জিয়ার সংকট তৈরি হতো না” — বক্সির হাটে কম্বল বিতরণে ডা. শাহাদাত

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ও মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, কারাগারে থাকাকালীন বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসার ক্ষেত্রে সরকারের স্বৈরতান্ত্রিক আচরণই আজকের এই সংকটের জন্য দায়ী। তিনি অভিযোগ করে বলেন, “পুরান ঢাকার কারাগারে থাকার সময় আমি নিজে একটি উন্নতমানের ইউরোপিয়ান ফিজিওথেরাপি মেশিন পাঠিয়েছিলাম, কিন্তু সরকার সেটি জব্দ করে এবং দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসককে সরিয়ে দেয়। পরবর্তীতে অনভিজ্ঞ ফিজিওথেরাপিস্ট দিয়ে তার চিকিৎসা করানো হয়। একই সঙ্গে এমন কিছু ওষুধ দেওয়া হয়েছিল, যা তার লিভার ও কিডনি ক্ষতিগ্রস্ত করেছে—আজ তারই ফল আমরা দেখছি।”

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নগরীর বক্সির হাট এলাকায় বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় বক্সির হাট ওয়ার্ড বিএনপির উদ্যোগে আয়োজিত কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ডা. শাহাদাত আরও বলেন, “গত শুক্রবার ম্যাডামের পাশে দাঁড়িয়ে দেখেছি তার পাকস্থলীর রক্তক্ষরণ বন্ধে এন্ডোস্কপিক সার্জারি করতে হয়েছে। অপারেশন সফল হলেও তিনি এখনো সংকটাপন্ন। সময়মতো বিদেশে চিকিৎসার সুযোগ পেলে এই অবস্থা হতো না।”

তিনি মনে করেন, দেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের সংগ্রামে বেগম খালেদা জিয়া এখনো জাতির আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতীক। “বেগম খালেদা জিয়া সুস্থ হলে বাংলাদেশ সুস্থ হবে,” উল্লেখ করে তিনি সবাইকে ধানের শীষের পক্ষে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান এবং চট্টগ্রাম–৯ আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী আবু সুফিয়ানকে ভোট দিয়ে বিজয়ী করার আহ্বান জানান।

শেষে বেগম খালেদা জিয়ার দ্রুত আরোগ্য কামনায় দোয়া করার আহ্বান জানিয়ে ডা. শাহাদাত বলেন, “মহান রাব্বুল আলামিন যেন আমাদের নেত্রীকে সুস্থ করে জনগণের মাঝে ফিরিয়ে আনেন। তার নেতৃত্বে গণতন্ত্র ও মানুষের অধিকার পুনরুদ্ধারের লড়াই আরও শক্তিশালী হবে।”

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সভাপতি এস এম মুফিজ উল্লাহ এবং সঞ্চালনা করেন ফেরদৌস ওয়াহিদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম–৯ আসনে বিএনপির প্রার্থী আবু সুফিয়ান, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মো. কামরুল ইসলাম, ইসমাইল বালি, এডভোকেট তারিক আহমেদ, হাজী মো. বেলাল, ইয়াসিন চৌধুরী আসু, হাজী নুরুল আকতার, আলহাজ্ব জাকির হোসেন প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপি নেতা কবির সওদাগর, সাইফুল ইসলাম সেলিম, মো. ইদ্রিস আলম, মো. সাজু, এন মো. রিমন, শাহরিয়ার আহমেদ, মামুনুর রশীদসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।