একই দিনে জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট: গণভোটে উপস্থাপিত প্রস্তাব

বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন সচিবালয় এক সংশোধিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে যে, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট আগামী নির্বাচনের দিন একই সঙ্গে অনুষ্ঠিত হবে। গণভোটে নাগরিকদের কাছে “জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ, ২০২৫” এবং সনদে উল্লিখিত সাংবিধানিক সংস্কারসমূহে সম্মতি চাওয়া হবে।

গণভোটে অংশগ্রহণকারীরা নিম্নোক্ত প্রশ্নের জবাবে ‘হ্যাঁ’ বা ‘না’ ভোট দেবেন:

“আপনি কি জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ, ২০২৫ এবং জুলাই জাতীয় সনদে লিপিবদ্ধ সংবিধান সংস্কার সম্পর্কিত নিম্নলিখিত প্রস্তাবসমূহের প্রতি আপনার সম্মতি জ্ঞাপন করিতেছেন?”

গণভোটে উপস্থাপিত প্রস্তাবসমূহের মূল দিকগুলো হলো—

(ক) নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার, নির্বাচন কমিশন এবং অন্যান্য সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান জুলাই সনদে বর্ণিত প্রক্রিয়া অনুযায়ী পুনর্গঠিত হবে।
(খ) আগামী জাতীয় সংসদ হবে দুই কক্ষবিশিষ্ট—যেখানে দলগুলোর মোট প্রাপ্ত ভোটের অনুপাতে ১০০ সদস্য নিয়ে একটি উচ্চকক্ষ গঠন করা হবে। ভবিষ্যতে সংবিধান সংশোধন করতে হলে এই উচ্চকক্ষের সংখ্যাগরিষ্ঠ সমর্থন প্রয়োজন হবে।
(গ) নারী প্রতিনিধিত্ব বৃদ্ধি, বিরোধী দল থেকে ডেপুটি স্পিকার নিয়োগ, সংসদীয় কমিটির সভাপতিদের নির্বাচন, মৌলিক অধিকার, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা, স্থানীয় সরকার ব্যবস্থার শক্তিশালীকরণ, প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ নির্ধারণ, রাষ্ট্রপতির ক্ষমতাসহ সনদের তফসিলে উল্লিখিত ৩০টি সংস্কার বিষয়ের বাস্তবায়নে নির্বাচনে বিজয়ী দলগুলো বাধ্য থাকবে।
(ঘ) এছাড়া জুলাই জাতীয় সনদে বর্ণিত অন্যান্য সংস্কার রাজনৈতিক দলগুলোর ঘোষিত প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী বাস্তবায়ন করা হবে।

নির্বাচন কমিশন জানায়, জনগণের মতামত নিশ্চিত করতে এবং জুলাই জাতীয় সনদের প্রতি জাতীয় ঐকমত্য যাচাই করতে এই গণভোট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।