গত শনিবার চট্টগ্রাম নগরীর জিইসি কনভেনশন হলে অনুষ্ঠিত “নির্বাচনী দায়িত্বশীল সম্মেলনে” দেওয়া এক বক্তব্যকে কেন্দ্র করে জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় নেতা আলহাজ্ব শাহজাহান চৌধুরীর বিরুদ্ধে কারণ দর্শানোর নোটিশ জারি করা হয়েছে।
সম্মেলনে তিনি প্রশাসনকে দলীয় নিয়ন্ত্রণে আনার বিষয়ে মন্তব্য করেন—যা বিভিন্ন গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক নিন্দার সৃষ্টি করেছে। বক্তব্যে তিনি দাবি করেন, “নির্বাচন শুধু জনগণ দিয়ে নয়; প্রশাসনের সবাইকে আমাদের আন্ডারে আনতে হবে। আমাদের কথায় উঠবে, বসবে, গ্রেপ্তার করবে ও মামলা করবে।”
এই মন্তব্য প্রকাশের পর প্রশাসনের বিভিন্ন স্তর থেকে তীব্র প্রতিক্রিয়া আসে। দেশের কূটনৈতিক মহলের পাশাপাশি দেশ-বিদেশে দলীয় কর্মী এবং সাধারণ মানুষের মধ্যেও নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে।
জামায়াতের পক্ষ থেকে জানানো হয়, তার বক্তব্য রাষ্ট্রীয় প্রশাসনের পেশাদারিত্ব, নিরপেক্ষতা ও মৌলিক চেতনা ক্ষুণ্ন করেছে এবং দলের ভাবমর্যাদা গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। পূর্বেও সংগঠনের ভাবমর্যাদা ক্ষুণ্নকারী বক্তব্যের কারণে তাকে একাধিকবার সতর্ক করা হয় এবং মুহতারাম আমীরে জামায়াত তার প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
সংগঠনের শৃঙ্খলা পরিপন্থী আচরণের অভিযোগে আমীরে জামায়াতের নির্দেশে তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করা হয়েছে। নোটিশে বলা হয়—কেন তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, তা লিখিতভাবে ৭ দিনের মধ্যে জানাতে হবে। নির্ধারিত সময়ে সন্তোষজনক জবাব না পাওয়া গেলে দলীয় গঠনতন্ত্র অনুযায়ী পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।