ক্র্যানফিল্ড বিশ্ববিদ্যালয় পরিদর্শন শেষে চসিক মেয়র: অ্যারোস্পেস সায়েন্সে বাংলাদেশের বিপুল সম্ভাবনা

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন যুক্তরাজ্যের বিশ্বখ্যাত ক্র্যানফিল্ড বিশ্ববিদ্যালয় পরিদর্শন শেষে বলেছেন—অ্যারোস্পেস সায়েন্সে বাংলাদেশের বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে। এই সফর দেশের প্রযুক্তিগত সক্ষমতা, গবেষণা সুযোগ এবং মানবসম্পদ উন্নয়নে “একটি যুগান্তকারী সম্ভাবনার দ্বার” খুলে দিয়েছে বলে তিনি মনে করেন।
মঙ্গলবার দেওয়া এক বিবৃতিতে মেয়র জানান, অ্যারোনটিক্স ও অ্যারোস্পেস সায়েন্সে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠান ক্র্যানফিল্ড বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের সঙ্গে জ্ঞান বিনিময়, যৌথ গবেষণা এবং প্রযুক্তিগত সহযোগিতায় গভীর আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
তিনি বলেন, “ক্র্যানফিল্ড বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের সঙ্গে অর্থবহ সহযোগিতার বিষয়ে আন্তরিক প্রতিশ্রুতি জানিয়েছে। এ অংশীদারিত্ব ভবিষ্যতে আমাদের দেশে দক্ষ জনশক্তি গড়ে তোলা, বৈশ্বিক গবেষণায় ভূমিকা রাখা এবং বিশ্বমঞ্চে প্রতিযোগিতামূলক অবস্থান তৈরি করতে সহায়তা করবে।”
সফরকালে মেয়র বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর ড. মুশফিকুর রহমান পরিচালিত একটি বিশেষ অ্যারোনটিক্যাল ফ্লাইট প্রদর্শনী প্রত্যক্ষ করেন। এ অভিজ্ঞতা বাংলাদেশের অ্যারোস্পেস–সম্পর্কিত গবেষণা ও উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে নতুন অনুপ্রেরণা যোগ করবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
১৯৪৬ সালে প্রতিষ্ঠিত ক্র্যানফিল্ড বিশ্ববিদ্যালয় বর্তমানে যুক্তরাজ্যের একটি বিশেষায়িত পোস্টগ্র্যাজুয়েট গবেষণা প্রতিষ্ঠান। অ্যারোনটিক্স, অ্যারোস্পেস ইঞ্জিনিয়ারিং, এয়ার ট্রান্সপোর্টেশন, ড্রোন প্রযুক্তি, পরিবহন পরিকল্পনা এবং ইনোভেশন-বেইসড গবেষণায় বিশ্ববিদ্যালয়টির বৈশ্বিক সুনাম রয়েছে। প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব রিসার্চ এয়ারপোর্ট, অত্যাধুনিক ল্যাব, এবং এয়ারবাস–বোয়িংসহ আন্তর্জাতিক বিমান শিল্পের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতা এটিকে ইউরোপের শীর্ষ গবেষণা কেন্দ্রগুলোর একটিতে পরিণত করেছে।
মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন মনে করেন—স্মার্ট ট্রান্সপোর্টেশন, ড্রোন প্রযুক্তি, পরিবেশ-সহনশীল নগরায়ন ও আধুনিক নগর পরিকল্পনায় ক্র্যানফিল্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অভিজ্ঞতা বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। চট্টগ্রামকে স্মার্ট, প্রযুক্তিনির্ভর ও টেকসই নগর হিসেবে গড়ে তুলতে এ ধরনের সহযোগিতা বড় ভূমিকা রাখতে পারে বলেও তিনি আশা প্রকাশ করেন।
তিনি আরও বলেন, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন ও ক্র্যানফিল্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের এই প্রাথমিক সংযোগ ভবিষ্যতে আরও বিস্তৃত হবে এবং বাংলাদেশের প্রযুক্তি–গবেষণার সক্ষমতাকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আরও দৃঢ় করবে।