নির্বাচন বিরোধীদের ৭ নভেম্বরের চেতনায় পরাজিত করতে হবে: আমীর খসরু

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, যারা আগামী নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করতে চায় বা বিলম্বিত করতে চায়, তাদের সাতই নভেম্বরের চেতনায় ঐক্যবদ্ধ হয়ে পরাজিত করতে হবে।

তিনি শুক্রবার (৭ নভেম্বর) বিকেলে চট্টগ্রাম নগরীর ২ নম্বর গেইটস্থ বিপ্লব উদ্যানের পাশে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির এক বিশাল জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব নাজিমুর রহমানের সভাপতিত্বে এবং যুগ্ম আহবায়ক আর ইউ চৌধুরী শাহিন ও ইয়াছিন চৌধুরী লিটনের পরিচালনায় আয়োজিত এই জনসভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন, সাবেক সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল হাশেম বক্করসহ কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।

আমীর খসরু বলেন,

“আমাদের মধ্যে রাজনৈতিক প্রতিযোগিতা থাকতে পারে, কিন্তু ঐক্য ভাঙার কোনো সুযোগ নেই। তারেক রহমান সাহেব নির্দেশ দিয়েছেন—দলের যাকে মনোনয়ন দেওয়া হবে, তার পাশে সবাইকে দাঁড়াতে হবে। আগামী নির্বাচনে বিএনপির বিজয় ছিনিয়ে আনতে হবে।”

তিনি আরও বলেন,

“আজও আন্দোলন শেষ হয়নি। আগামী নির্বাচনে একটি সুষ্ঠু ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত সরকার প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত বিএনপির লড়াই চলবে। তারেক রহমানকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চায় দেশের মানুষ।”

সাম্প্রতিক চট্টগ্রাম-৮ আসনের প্রার্থী এরশাদ উল্লাহর গণসংযোগে গুলির ঘটনার উল্লেখ করে আমীর খসরু বলেন,

“এই ধরনের ঘটনা নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করার ষড়যন্ত্রের অংশ হতে পারে। যারা এমন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত, তারা গণতন্ত্রের শত্রু। সবাইকে চোখ-কান খোলা রাখতে হবে।”

জুলাই সনদ প্রসঙ্গে তিনি বলেন,

“ঐক্যমতের ভিত্তিতে সনদ সই হয়েছে, এখন অধ্যায় শেষ। এর বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই। কেউ যেন নিজের দাবি অন্যের ওপর চাপিয়ে দিতে না পারে। শেখ হাসিনার পথে নয়, গণতন্ত্রের পথে হাঁটতে হবে।”

সভায় মাহবুবের রহমান শামীম বলেন,

“একটি মহল নির্বাচন বানচাল করার চক্রান্ত করছে। কিন্তু বাংলাদেশের মানুষ এখন ধানের শীষে ভোট দিতে উদগ্রীব। তারেক রহমানই হবেন বাংলাদেশের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী।”

ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন,

“৭ নভেম্বর মুক্তিযুদ্ধ ও গণতন্ত্র রক্ষার প্রতীক। সেই চেতনায় বিএনপি ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে যাবে।”

ব্যারিস্টার মীর হেলাল বলেন,

“তারেক রহমান ১৭ বছর ধরে দলকে ঐক্যবদ্ধ রেখেছেন। আগামী নির্বাচনেই গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার হবে।”

সভাপতির বক্তব্যে নাজিমুর রহমান বলেন,

“১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর সিপাহী-জনতা দেশের স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র রক্ষায় রাজপথে নেমেছিল। আজও সেই চেতনায় আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।”

জনসভায় আরও বক্তব্য রাখেন মহানগর বিএনপি, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।