১৬ বছর পর আগ্রাবাদের বশির মোহাম্মদ সড়ক দখলমুক্ত: সংস্কার ও উন্নয়ন কাজ উদ্বোধন করলেন সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত

চট্টগ্রাম, ২২ অক্টোবর :
চট্টগ্রাম মহানগরীর আগ্রাবাদে জেলা পুলিশ লাইনের সামনে দীর্ঘ ১৬ বছর দখলে থাকা আলোচিত হাজী শেখ বশির মোহাম্মদ সড়কটি দখলমুক্ত করে সংস্কার ও উন্নয়ন কার্যক্রম শুরু করেছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক)।

বুধবার (২২ অক্টোবর) সকালে সড়কটির সংস্কার ও উন্নয়ন কাজের উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন,
“আজকের দিনটি কয়েক লক্ষ আগ্রাবাদবাসীর জন্য এক বিশেষ দিন। এই সড়ক উন্মুক্ত হওয়ার আনন্দ মানুষের মুখে দেখে মনে হচ্ছে, আজ যেন ঈদের উৎসব।”

তিনি আরও বলেন, “এই রাস্তা মানুষের চলাচলের পথ, মানুষের জীবনের অংশ। এই পথ উন্মুক্ত করতে পেরে নাগরিক দায়িত্বের পাশাপাশি এক মানবিক অঙ্গীকার পূরণ করতে পেরেছি বলে আমি নিজেকে ধন্য মনে করছি। মেয়র হিসেবে নয়, একজন নগরবাসী হিসেবে আজকের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করতে পারায় পরম তৃপ্তি অনুভব করছি।”

মেয়র ঘোষণা দেন, এই রাস্তা এখন থেকে হবে পরিচ্ছন্ন, দখলমুক্ত ও মাদকমুক্ত এলাকা। কেউ এখানে অবৈধভাবে বসতি বা দোকান বসাতে পারবে না। প্রয়োজনে মাঝখানে আইল্যান্ড ও বাগান করে সড়কটিকে সৌন্দর্যবর্ধন করা হবে।

তিনি জানান, এ এলাকায় বেশ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ব্যবসাকেন্দ্র ও হাসপাতাল রয়েছে। সড়কটি খুলে দেওয়ার ফলে নগরীর ২৪ ও ২৭ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের যাতায়াত আরও সহজ হবে। পাশাপাশি এলাকাবাসীর নিরাপত্তা ও চলাচলের স্বার্থে সবাইকে দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান মেয়র।

ডা. শাহাদাত বলেন,
“আমরা একটি নিরাপদ ও মাদকমুক্ত চট্টগ্রাম গড়তে চাই। কেউ মাদক ব্যবসায় বা সেবনে যুক্ত হলে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী কঠোর ব্যবস্থা নেবে। জনগণই হবে দুর্নীতি, সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে সর্বশক্ত প্রতিরোধ।”
তিনি আশা প্রকাশ করেন, আগামী ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে জনগণ উন্নয়নের পক্ষে রায় দেবে।

দক্ষিণ আগ্রাবাদ ২৭ নং ওয়ার্ড বিএনপির আহ্বায়ক কামাল উদ্দিন সরদারের সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন চসিক সচিব মো. আশরাফুল আমিন, নির্বাহী প্রকৌশলী আনোয়ার জাহান, সহকারী প্রকৌশলী গাজী কামরুল হাসান, বীর মুক্তিযোদ্ধা হাজী হোসেন আহমেদ, সাবেক কাউন্সিলর মো. সেকান্দারসহ স্থানীয় রাজনৈতিক ও সামাজিক নেতৃবৃন্দ।

এ সময় এলাকার সাধারণ মানুষ, ব্যবসায়ী ও স্থানীয় সংগঠনের সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন।