গোপালগঞ্জে ফ্যাসিস্ট ও নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের হামলা, অগ্নিসংযোগ এবং নৈরাজ্যের প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী চট্টগ্রাম মহানগরী। বৃহস্পতিবার কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে মিছিলটি চট্টগ্রাম মহানগরীর আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদের উত্তর গেট থেকে শুরু হয়ে নগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রেসক্লাবের সামনে এসে সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য, চট্টগ্রাম মহানগরীর ভারপ্রাপ্ত আমির ও পরিবেশবিদ মুহাম্মদ নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে এবং কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি মুহাম্মদ উল্লাহর সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য, চট্টগ্রাম মহানগরী সেক্রেটারি ও চট্টগ্রাম-২ (ফটিকছড়ি) আসনে জামায়াতে ইসলামী মনোনীত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী অধ্যক্ষ মুহাম্মদ নুরুল আমিন, কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও মহানগরীর এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি ফয়সাল মুহাম্মদ ইউনুস, সাংগঠনিক সম্পাদক ও চট্টগ্রাম-১০ আসনে জামায়াতে ইসলামী মনোনীত প্রার্থী ডা. এ কে এম ফজলুল হক প্রমুখ।
বিক্ষোভ সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম বলেন, ২০২৪ সালের জুলাই আন্দোলন ছিলো ফ্যাসিবাদের নির্যাতনে পিষ্ট জনতার স্বতঃস্ফূর্ত বিস্ফোরণ। ১৬ জুলাই শহীদ আবু সাঈদের শাহাদাতের মাধ্যমেই ফ্যাসিবাদের পতন ঘণ্টা বেজে উঠে। একই দিনে চট্টগ্রামে তিনজন এবং ঢাকার রাজপথে দু’জন শাহাদাত বরণ করেন। জাতি যখন জুলাই বিপ্লবের বার্ষিকী পালন করছে ঠিক তখনই গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় পতিত স্বৈরাচারের দোসররা হামলা, হত্যাকাণ্ড, অগ্নিসংযোগ ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার অপপ্রয়াস চালায়। এহেন ন্যক্কারজনক ঘটনার তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, আসুন ষড়যন্ত্রকারী ও সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলি এবং সাত দফা গণদাবিতে ১৯ জুলাই জাতীয় মহাসমাবেশ সফল করি।
এতে আরও উপস্থিত ছিলেন নগর কর্মপরিষদ সদস্য হামেদ হাসান ইলাহী, আমির হোসাইন, জামায়াত নেতা ফারুকে আজম, ইসমাইল, সিসিএর সভাপতি সেলিম জামান, আ ম ম মসরুর হোসাইন, শহিদ ফারুকের পিতা মোহাম্মদ দুলাল প্রমুখ।