রাউজানে যুবলীগ কর্মীকে ঘর থেকে তুলে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা

চট্টগ্রামের রাউজানে মুহাম্মদ হাসান (৩৫) নামে এক যুবলীগ কর্মীকে ঘর থেকে তুলে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। গতকাল বুধবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার নোয়াপাড়া ইউনিয়নের চৌধুরীহাট বাজারের কাছে এ ঘটনা ঘটে। নিহত মোহাম্মদ হাসান নোয়াপাড়া চৌধুরীহাট এলাকার বাসিন্দা। তাঁর এক ছেলে ও এক মেয়ে আছে। আজ বৃহস্পতিবার ময়নাতদন্ত শেষে লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে জানিয়েছেন পুলিশ।

রাউজান থানার ওসি মনিরুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন,  প্রাথমিকভাবে যতটুকু শুনেছি, হাসান যুবলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন। গত কয়েকমাস তিনি বাড়িতে ছিলেন না। গতকালই বাড়িতে আসেন। রাতে তাকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে পিটিয়ে জখম করা হয়। স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে তার মৃত্যু হয়। হাসপাতাল থেকে আমরা হত্যাকাণ্ডের তথ্য পেয়েছি। কী কারণে তাকে মেরে ফেলা হয়েছে, এসব বিষয়ে অনুসন্ধান চলছে বলে জানান তিনি।

স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, আওয়ামী লীগের শাসনামলে হাসান যুবলীগের মুহাম্মদ মোবারকের সহযোগী ছিলেন। ২০১৩ সালে মোবারককে একদল সন্ত্রাসী কুপিয়ে হত্যা করে। গত ৫ আগস্টের পর থেকে আওয়ামী লীগের অন্যান্য নেতা-কর্মীর মতো হাসানও আত্মগোপনে ছিলেন। গত মঙ্গলবার রাতে হাসান বাড়িতে যান। গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় তাঁকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। পরে চৌধুরীহাট বাজারের এক পাশে নিয়ে তাঁকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করা হয়। স্থানীয় লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে নোয়াপাড়া পথেরহাটের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেন। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় রাত ১১টার দিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক হাসানকে মৃত ঘোষণা করেন।

এদিকে নিহত ব্যক্তির স্ত্রী ঝিনু আকতার গলমাধ্যমকে বলেন, গতকাল সন্ধ্যার আগে একদল মুখোশধারী লোক দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে হাসানকে অস্ত্রের মুখে তুলে নিয়ে যান। রাত ১০টার পর খবর পেয়ে তিনি চৌধুরীহাট বাজারে গিয়ে দেখেন, একটি অটোরিকশায় তাঁর স্বামী পড়ে আছেন।

তবে তিন বছর আগে হাসান রাজনীতি থেকে দূরে সরে যান বলে দাবি করেন তাঁর মামতো ভাই ফার্নিচার ব্যবসায়ী আবু তাহের।