পটিয়ায় গণপিটুনীতে নিহত শামসুল আলমের মৃত্যুকে ভিন্নখাতে প্রভাবিত করে মিথ্যা মামলার মাধ্যমে মো. ইউনুছ ও তার পরিবারের সদস্যদের হয়রানির অভিযোগ উঠেছে পুলিশে বিরুদ্ধে। আজ শনিবার বিকেল সাড়ে ৩ টায় চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের এস রহমান হলে ভূক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করা হয়।
ভূক্তভোগী পরিবারের পক্ষে লিখিত বক্তব্যে মো: রিয়াজ নামে একজন বলেন, সম্প্রতি আলোচিত ঘটনা যাহা ইতোপূর্বে বিগত ২১/১২/২০২৪ ইং তারিখ বিকাল ৪ টায় পটিয়া থানাধীন পূর্ব হাইদগাঁও ইউনিয়নে অবস্থিত ভাঙ্গাপুলে গণপিটুনির শিকার চাঞ্চল্যকর ঘটনা সম্পর্কে আপনারা নিশ্চয়ই অবগত আছেন। যাহা ইতোমধ্যে বিভিন্ন প্রিন্ট মিডিয়া সহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। আমরা দেশবাসীকে প্রকৃত ঘটনা জানাতে এবং মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে বিগত ০৯/০১/২০২৫ ইং তারিখে পটিয়ার একটি অভিজাত রেস্টুরেন্টে স্থানীয়ভাবে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে লিখিত বক্তব্য প্রদান করি। উক্ত ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্বীকৃত গণপিটুনির বিষয়কে ধামাচাপা দিতে স্বার্থান্বেষী মহল বেশ মরিয়া ঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রভাবিত করতে দুর্নীতিবাজ পটিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ আবু জায়েদ মোঃ নাজমুন নুর অনৈতিকভাবে বশে নিয়ে দিবালোকের মত স্পষ্ট ঘটনাকে নাটকীয়ভাবে ভিন্নখাতে প্রভাবিত করে পুলিশ রাতে শামসুল আলমের স্ত্রীকে ডেকে নিয়ে পুলিশ নিজেরাই এজাহার টাইপ করে একটি মিথ্যা ও ষড়যন্ত্র মূলক মামলা রেকর্ড করেন। প্রকৃত সত্য হল শামসুল আলমের নেতৃত্বে চিহ্নিত ভাড়াটে সন্ত্রাসীরা নিরীহ মুদির দোকানদার ইউনুচকে মারাত্মকভাবে জখম করে দোকান লুটপাট করবার সময় স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী জনতা ধাওয়া করলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায় এবং শামসুল আলম গণ পিটুনীতে মারাত্মক জখম হয়। পরবর্তীতে ২ জনকে পটিয়া মেডিকেল হয়ে চমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরই মাঝে রাত্রে নাটকীয়ভাবে পুলিশের প্রত্যক্ষ ইন্ধনে মূল ঘটনা ধামাচাপা দিয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেলে শয্যাসায়ী মোঃ ইউনুচ সহ শিশু ও গোটা পরিবারের ১৬ জন নিরীহ মানুষের নামে পুলিশ কর্তৃক মিথ্যা ও হয়রানীমূলক মামলা করার প্রতিবাদে ও মূল ঘটনাকে জাতির সামনে পরিষ্কার করতে আজকের সংবাদ সম্মেলন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ভূক্তভোগী আছমা আকতার, রবিউল, নিশান, এমদাদ, রিদোয়ান, মানিক, ভূক্তভোগী ইউনুচের ছেলে তৌফিক রেজা, ভূক্তভোগী ইউনুচের ছেলে হোসাইন রেজা ও কাইছার প্রমুখ।