‘স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে কপিরাইট আইন, ২০২৩ এর প্রয়োগ ও বাস্তবতা’ শীর্ষক সেমিনারে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. আবু তাহের বলেছেন, কপিরাইট আইনের যথাযথ প্রয়োগের মাধ্যমে সর্বক্ষেত্রে সততা, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহীতা নিশ্চিত করতে হবে।
বৃহস্পতিবার ( ২৩ মে ) সকালে চবি আইন অনুষদের এ. কে. খান অডিটরিয়ামে অনুষ্ঠিত সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। বাংলাদেশ সরকারের সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের বাংলাদেশ কপিরাইট অফিসের উদ্যোগে সেমিনার এ আয়োজন করা হয়।
চবি উপাচার্য বলেন, Intellectual Property বা মেধাসম্পদের মালিকানার অধিকার রক্ষায় কপিরাইট আইন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কপিরাইটের গুরুত্ব বিবেচনা করে বর্তমান সরকার কপিরাইট আইন-২০২৩ প্রণয়ন করেছে। সৃজনশীল কর্মকান্ডের স্বত্ব সংরক্ষণের জন্য যেমন সাহিত্যকর্ম, নাট্যকর্ম, সংগীতকর্ম, রেকর্ডকর্ম, শিল্পকর্ম, চলচ্চিত্র বিষয়ককর্ম, বেতার সম্প্রচার, টেলিভিশন সম্প্রচার, কম্পিউটার-সফটওয়্যারকর্ম বাংলাদেশ কপিরাইট অফিসে নিবন্ধন করে সৃজন কর্মের নৈতিক ও আর্থিক অধিকার অর্থাৎ মালিকানা সংরক্ষণ নিশ্চিত করা সম্ভব বলে আশা করছি।
মেধাসম্পদের পাইরেসি বন্ধকরণসহ মেধার প্রকৃত মূল্যয়ন করে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে সকলকে দৃশ্যমান ভূমিকা রাখার আহবান জানান চবি উপাচার্য ।
সেমিনারে বিশেষ অতিথি ছিলেন চবি উপ-উপাচার্যদ্বয়। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন মো. দাউদ মিয়া, এনডিসি, রেজিস্ট্রার অব কপিরাইটস (অতিরিক্ত সচিব), বাংলাদেশ কপিরাইট অফিস।
সেমিনারের মুখ্য আলোচক ছিলেন চবি আইন অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. আবদুল্লাহ আল ফারুক, বিশেষ আলোচক ছিলেন চবি আইন বিভাগের প্রফেসর মো. মোর্শেদ মাহমুদ খান এবং মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মুদ্রণ ও প্রকাশনা অধ্যয়ন বিভাগের খন্ডকালীন শিক্ষক ও কপিরাইট বিশেষজ্ঞ খান মাহবুব।
সেমিনারে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন চবি আইন বিভাগের সভাপতি প্রফেসর ড. রকিবা নবী এবং বাংলাদেশ কপিরাইট অফিসের ডেপুটি রেজিস্ট্রার (উপ-সচিব) আবুল কাশেম মোহাম্মদ ফজলুল হক। সেমিনারে আমন্ত্রিত আলোচকবৃন্দ উল্লেখিত বিষয়ে উম্মুক্ত আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন।