চট্টগ্রামে এইচএসসি পরীক্ষা শুরু, বৃষ্টিতে ভোগান্তিতে পড়ে পরীক্ষার্থীরা

বৈরী আবহাওয়ার মধ্যে চট্টগ্রামে শুরু হয়েছে উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমানের পরীক্ষা।  বাংলা (আবশ্যিক) প্রথম পত্রের মাধ্যমে আজ রোববার (৩০ জুন) সকাল ১০টা থেকে শুরু হয় পরীক্ষা। তবে ভোর থেকে টানা বৃষ্টি শুরু হওয়ায় ভোগান্তিতে পড়ে পরীক্ষার্থী ও অভিভাবক। বৃষ্টির ভোগান্তি মাথায় নিয়েই কেন্দ্রে ঢুকতে দেখা গেছে পরীক্ষার্থীদের।

এবারে চট্টগ্রাম মহানগরী ও পাঁচ জেলা থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে এক লাখ ছয় হাজার ৩৪ জন। গতবছরের চেয়ে এবার পরীক্ষার্থী বেড়েছে প্রায় সাড়ে তিন হাজার।

শিক্ষাবোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, এবার ২৮৭টি কলেজ থেকে এক লাখ ছয় হাজার ৩৪ জন পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছেন। গতবছর ছিল ২৭৯টি কলেজ থেকে এক লাখ দুই হাজার ৪৬৮ জন। চট্টগ্রাম মহানগরসহ জেলার মোট পরীক্ষার্থী সংখ্যা ৭৬ হাজার ১৭৯ জন, যার মধ্যে ৩৪ হাজার ৯৭৯ জন ছাত্র আর ৪১ হাজার ২০০ জন ছাত্রী। শুধু মহানগরে পরীক্ষার্থী ৩৭ হাজার ৪৯২ জন, যার মধ্যে ছাত্র ১৮ হাজার ১৩৬ জন এবং ছাত্রী ১৯ হাজার ৩৫৬ জন।

এছাড়া কক্সবাজার জেলায় পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১৩ হাজার ৪৬৩ জন, যার মধ্যে ছাত্র পাঁচ হাজার ৫৭৪ এবং ছাত্রী সাত হাজার ৮৮৯ জন। রাঙামাটিতে পাঁচ হাজার ৬৬৩ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ছাত্র দুই হাজার ৬৬২ জন এবং ছাত্রী তিন হাজার একজন। খাগড়াছড়িতে ছয় হাজার ৭২৭ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ছাত্র তিন হাজার ১৬২ ও ছাত্রী তিন হাজার ৫৬৫ জন। বান্দরবান জেলায় চার হাজার দুইজন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ছাত্র এক হাজার ৯৫৫ জন এবং ছাত্রী দুই হাজার ৪৭ জন। মোট পরীক্ষাকেন্দ্র ১১৫টি। এর মধ্যে চট্টগ্রামে ৬৯টি, কক্সবাজারে ১৮টি, রাঙামাটিতে দশটি, খাগড়াছড়িতে দশটি ও বান্দরবানে আটটি কেন্দ্রে পরীক্ষা হবে।

রোববার সকালে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড চট্টগ্রামের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক এ এম এম মুজিবুর রহমান জানান, পরীক্ষা সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে সম্পন্ন করতে ৩৮টি বিশেষ ভিজিল্যান্স টিম গঠন করা হয়েছে। এছাড়াও ৬০ টি সাধারণ ভিজিল্যান্স টিম কাজ করছে।

এদিকে পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে পরীক্ষার কক্ষে আসন গ্রহণ করার নির্দেশনা মেনে সকাল থেকেই অনেক অভিভাবক সন্তানকে নিয়ে রওনা হতে দেখা গেছে। তবে ভোর রাত থেকে শুরু হওয়া বৃষ্টি ও জলজটে তাদের দুর্ভোগে পড়তে হয়। এর সঙ্গে যোগ হয় পরিবহন সংকট।

শিক্ষা বোর্ড সচিব নারায়ণ চন্দ্র নাথ জানান, কোনও কেন্দ্র থেকে অভিযোগ পাইনি। তবে প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে কোনও পরীক্ষার্থী ৫ মিনিট দেরীতে পরীক্ষা কেন্দ্রে এলে, তাকে যেন আরও ৫ মিনিট বেশি সময় দেওয়া হয় সে নির্দেশনা দেওেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।

পরীক্ষা প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে শুরু হয়ে চলবে বেলা ১টা পর্যন্ত। কোনো কোনো পরীক্ষা বিকেল ২টা থেকে ৫টা পর্যন্ত হবে। লিখিত পরীক্ষা শেষ হবে ১১ আগস্ট। এরপর ব্যবহারিক পরীক্ষা শুরু হবে। পুনর্বিন্যাসকৃত (সংক্ষিপ্ত) পাঠ্যসূচিতে অনুষ্ঠিত হবে এ পরীক্ষা।