স্বর্ণের বার উদ্ধারের ঘটনায় বিমান জব্দ
শাহ আমানত বিমান বন্দরে বৃহস্পতিবার সকালে দুবাই ফের যাত্রীর কাছ থেকে স্বর্ণের বার উদ্ধারের ঘটনায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের উড়োজাহাজটি জব্দ করা হয়েছে। স্বর্ণের বার উদ্ধারের পর আজ বিকেলে বোয়িং ৭৭৭-ইআর’ মডেলের উড়োজাহাজটি জব্দ করে কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর। জব্দ করা উড়োজাহাজটি দুবাই ফেরত বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইট ‘বিজি-১৪৮’ হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছিল। এর আগে বৃহস্পতিবার সকালে ওই উড়োজাহাজ থেকে ২০টি সোনার বার উদ্ধার করেন গোয়েন্দারা।
আজ বৃহস্পতিবার রাত ৮টায় পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তথ্যটি নিশ্চিত করেন সংস্থাটির সহকারী পরিচালক মো. বিল্লাল হোসেন।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বৃহস্পতিবার সকালে চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে উড়োজাহাজটির একটি আসনের নিচ থেকে ২ কেজি ৩২০ গ্রাম ওজনের সোনার বার জব্দ করা হয়। এরপরই বিকেলে কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা উড়োজাহাজটি জব্দ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা ২৫ মিনিটে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিজি-১৪৮ ফ্লাইটে চালানো যৌথ বিমানের ‘৯-জে’ সিটের নিচে প্লাস্টিক টেপ মোড়ানো অবস্থায় ২৪ ক্যারেটের ২০টি সোনার বার উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় ওই আসনের যাত্রী আতিয়া সামিয়াকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার বাড়ি রাজশাহীর বোয়ালিয়া থানা এলাকায়।গ্রেপ্তার আতিয়া সামিয়া সংযুক্ত আরব আমিরাতে ‘ওশেন গোল্ড অ্যান্ড ডায়মন্ড জুয়েলারি’ নামের একটি দোকানে বিক্রয়কর্মী হিসেবে কাজ করেন। দেশেও তিনি অনলাইনে সোনা বিক্রি করেন।
জব্দ করা উড়োজাহাজ প্রসঙ্গে কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মো. মিনহাজ উদ্দিন বলেন, কাস্টমস গোয়েন্দার অধীনে আগেও একবার বিমান জব্দের ঘটনা ঘটে। তা হয়েছিল ঢাকায়। বিমান জব্দের ঘটনা চট্টগ্রামে এটাই প্রথম। তিনি বলেন, ‘বিমান জব্দের ঘটনা অন্য ফৌজদারি মামলার আলামতের মতো ফিজিক্যালি জব্দ করা হয় না। ফিজিক্যালি বিমান তাদের শিডিউল অনুসারে চলাচল করবে। তবে দালিলিকভাবে কাস্টমস আইন অনুসারে বিমানটি আটক করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, ‘বিমানের সিমের নিচে বিশেষ কৌশলে সোনার বার লুকিয়ে রাখা অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। ফলে এতে বহনকারী যাত্রী বাদেও বিমানের কেউ জড়িত থাকতে পারে। তদন্তের সুবিধার্থে উড়োজাহাজটি জব্দ করা হয়েছে।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.