আগস্টের আগের শত্রুরা আবারও মাঠে নেমেছে : শাহজাহান চৌধুরী
মহানগর জামায়াতে ইসলামীর আমির শাহজাহান চৌধুরী বলেছেন, ৫ আগস্টের আগের শত্রুরা নতুন পরিচয়ে আবারও মাঠে নেমেছে। তাদেরকে প্রতিহত করতে না পারলে বিরাট একটি অধ্যায় ছাত্রজনতাকে আবারও অতিক্রম করতে হবে। না হয় ১৯৭১ সাল পরবর্তী সেই কালো অধ্যায়ের সম্মুখীন হবে দেশ। প্রকৃত আন্দোলনকারীদের চিহ্নিত করে আমাদের সংগঠিত করতে হবে; যাতে ১৯৭১ সালের মতো ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার উদ্ভব না হয়।
আজ মঙ্গলবার সকালে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শহীদ ও আহত পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে জামায়াতে ইসলামী চট্টগ্রাম মহানগরের মতবিনিময় সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, ২০২৪ সালের ৩৬ জুলাই রয়েল বেঙ্গল টাইগারের মতো হুঙ্কার দিয়ে ফ্যাসিবাদের পতন ঘটিয়েছে ছাত্রজনতা। সেদিন বাংলাদেশের সকল শ্রেণি-পেশার মানুষ ছাত্রদের পাশে দাঁড়াতে রাস্তায় নেমে এসেছিল।
দলের কেন্দ্রীয় মজলিশে শূরা সদস্য ও মহানগর সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মুহাম্মদ নুরুল আমিনের সঞ্চালনায় সভায় আরও বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় মজলিশে শূরা সদস্য ও মহানগর নায়েবে আমির মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম, মুহাম্মদ উল্লাহ ও ফয়সাল মুহাম্মদ ইউনুস এবং শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন চট্টগ্রাম মহানগর সভাপতি এস এম লুৎফর রহমান।
উপস্থিত ছিলেন এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মাওলানা খায়রুল বাশার, নগর জামায়াতের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক কাউন্সিলর অধ্যক্ষ শামসুজ্জামান হেলালী, নগর কর্মপরিষদ সদস্য আবু হেনা মোস্তফা কামাল, প্রফেসর সাইফুল্লাহ, কোতোয়ালী থানা আমির মুহাম্মদ আমির হোসাইন, ডবলমুরিং থানা আমির ফারুকে আজম, চকবাজার থানা আমির আহমেদ খালেদুল আনোয়ার, পাঁচলাইশ থানা আমির মাহবুবুর রহমান রুমি প্রমুখ।
মতবিনিময় সভায় শহীদ পরিবারের সদস্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন ফয়সাল আহমেদ শান্তর মা কহিনুর আক্তার, কাউছার হামিদের মা নুর জাহান। আহতদের মধ্যে তাওহিদুল ইসলাম, নুর হোসেন, মোহাম্মদ ওয়ালি হোসেন, মিছবাহ উদ্দিন, মাহবুব তালুকদার, জাহাঙ্গীর আলম, সাইয়েদ মাহমুদুল হাসান ও মুহাম্মদ ইমরান হোসেন এবং আহত জুবায়েরের মা দিলোয়ারা বেগম।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.