আগস্টের গণঅভ্যুত্থানকে সফল করতে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে : বিভাগীয় কমিশনার
৫ আগস্টের গণঅভ্যুত্থানকে সফল করতে সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার ড. মো. জিয়াউদ্দীন।আজ মঙ্গলবার ‘চট্টগ্রাম হানাদার মুক্ত দিবস’ উপলক্ষে নগরীর সার্কিট হাউজে জেলা প্রশাসন আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
বিভাগীয় কমিশনার ড. মো. জিয়াউদ্দীন বলেন, ‘একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধের ধারাবাহিকতায় আবারও একটি বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠা ও জনগণের সার্বিক অর্থনৈতিক মুক্তির লক্ষ্যে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে। এ অভ্যুত্থানকে সফল করতে সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের অন্যতম সূতিকাগার চট্টগ্রাম। এখানে মুক্তিযোদ্ধাদের অনেক স্মরণীয় কীর্তি ও বীরত্বগাঁথা আছে। মুক্তিযুদ্ধকে বিশেষ শ্রেণি-গোষ্ঠীর কবল থেকে মুক্ত করে সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে হবে, জনগণের সম্পদে পরিণত করতে হবে।’
বিভাগীয় কমিশনার ড. মো. জিয়াউদ্দীন আরো বলেন, ‘১৯৭১ সালে যুদ্ধ সংগঠিত হয়েছিল বৈষম্য ও অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে। সর্বস্তরের জনগণ সে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিল। সবার স্বপ্ন ছিল বৈষম্যহীন একটি মুক্ত স্বাধীন দেশ বিনির্মাণ করা। কাঙ্ক্ষিত স্বপ্ন আমরা পূরণ করতে পারিনি বলেই আমাদের মুক্তির পথে অনেক বাধা এসেছে।’
সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম বলেন, ‘১৯৭১ সালের ১৭ ডিসেম্বর সকালে এক নম্বর সেক্টরের কমান্ডার মেজর রফিকুল ইসলাম ও যৌথ মিত্রবাহিনীর আনন্দস্বরূপ মিলে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। এটাই চট্টগ্রাম হানাদার মুক্ত দিবসের মূল ইতিহাস। এটি কোন জাতীয় দিবস নয়, তবে চট্টগ্রামবাসীর প্রাণের দাবিতে আনন্দমুখর পরিবেশে দিবসটি উদযাপিত হয়ে আসছে।’
জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার সিফাত বিনতে আরা’র সঞ্চালনায় সভায় আরও বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এ এন এম ওয়াসিম ফিরোজ, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক নোমান হোসেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মোস্তফা কামাল ও ফজল বারিক।
আলোচনা সভার আগে বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে সার্কিট হাউজ প্রাঙ্গণ থেকে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি বের হয়।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.