পটিয়ায় মোতাহের-সামশুসহ ১৭১ জনের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক আইনে মামলা

১৩

চট্টগ্রামের পটিয়ায় আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী ও সাবেক হুইপ সামশুল হক চৌধুরীসহ ১৭১ জনের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক আইনে মামলা দায়ের হয়েছে।

গত মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) উপজেলার কাশিয়াইশ ইউনিয়নের বুধপুরা এলাকার ব্যবসায়ী সাদ্দাম হোসেন বাদী হয়ে পটিয়া থানায় মামলাটি দায়ের করলেও শুক্রবার (১ নভেম্বর) রাতে বিষয়টি জানাজানি হয়।

মামলায় হুইপ পুত্র নাজমুল করিম চৌধুরী শারুন, হুইপের দুই ছোট ভাই ফজলুল হক চৌধুরী মহব্বত, মুজিবুল হক চৌধুরী নবাব সহ ১২১ জনকে এজাহারভুক্ত আসামি করে আরো ৪০ থেকে ৫০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়।

বিস্ফোরক ও হত্যাচেষ্টার এ মামলায় আরো আসামি করা হয়—পটিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আ ক ম সামশুজ্জামান, মোজাম্মেল হক রাজধন, নুরুল হুদা, এমরান, যুবলীগ নেতা সাইফুল হাসান টিটু, মহিম, বাবর, জাবেদ সরওয়ার, কায়ছার, সাদ্দাম, সাইফুজ্জামান মানিক, আব্বাস উদ্দিন ছোটন, ছাত্রলীগ নেতা কপিল উদ্দিন, সাইফুল ইসলাম, পটিয়া পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর সরওয়ার কামাল রাজিব, গিয়াস উদ্দিন আজাদ, ইঞ্জি. রুপক কুমার সেন।

এছাড়াও সাবেক ১৫ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের মধ্যে আবুল কাশেম, এহসানুল হক, জাকারিয়া ডালিম, ইনজামুল হক জসিম, মাহবুবুর রহমান, মোহাম্মদ সেলিম, রনবীর ঘোষ টুটুন, সরোজ কান্তি সেন নান্টু, মাহবুবুল হক চৌধুরী, মো. বখতিয়ার, বি এম জসিম, শামসুল ইসলাম, শাহাদাত হোসেন সবুজ, ফৌজুল কবির কুমার, আমিনুল ইসলাম খান টিপু, সাবেক ইউপি সদস্য হাসেম মেম্বারসহ আ: লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের আসামি করা হয়।

এজাহারে আরো উল্লেখ করা হয়, গত ১১ অক্টোবর রাত ৮ টার দিকে ১-৩নং আসামিদের নির্দেশে ৪-১৮ নং আসামিরা যুবদল ও ছাত্রদল নেতাদের উপর ঝাপিয়ে পড়ে। এতে বাদী সহ যুবদল নেতা আবুল হাসান, জাফর আহমদ, মো. রাসেল, মো. ফোরকান, সাইফুদ্দিন সহ অনেকেই আহত হয়। ১৯-১২১নং আসামিগণ ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’, ‘আর নয় প্রতিরোধ, এবার হবে প্রতিশোধ’ সহ বিভিন্ন উস্কানিমূলক স্লোগান দিতে দিতে এলোপাতাড়িভাবে ককটেল বিস্ফোরণ করলে পুরো এলাকার জনমনে আতংক সৃষ্টি হয়।

এ সময় চট্টগ্রাম পটিয়া কক্সবাজার মহাসড়কের শান্তির হাট এলাকার ঘটনাস্থলে উপস্থিত ভিকটিম ও সাক্ষীরা বাধা দিলে আসামিরা বাদী ও ভিকটিমদের হত্যার উদ্দেশ্যে লোহার রড দিয়ে মারধর করে। এ সময় আসামিরা শান্তিরহাটের বিভিন্ন দোকান পাটে ভয় দেখিয়ে দোকান বন্ধের চাপ সৃষ্টি করে এবং নানান ধরনের ভয়ভীতি প্রদর্শনসহ প্রাণনাশের হুমকি ধমকি দেয় বলে বাদী এজাহারে উল্লেখ করেন।

পরবর্তীতে বাদীসহ জখমিরা জখমপ্রাপ্ত অবস্হায় প্রথমে শান্তিরহাট জেনারেল হাসপাতাল ও পটিয়া জেনারেল হাসপাতালেসহ বিভিন্ন হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা গ্রহণ করেন বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়।

মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে পটিয়া থানার ওসি আবু জায়েদ মো. নাজমুন নুর বলেন, ‘২৯ অক্টোবর রাতে পটিয়া থানায় একটি বিস্ফোরক ও হত্যাচেষ্টা মামলা করা রজু করেছেন এক ব্যবসায়ী। সেই মামলায় সাবেক সংসদ সদস্য মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরীকে প্রধান আসামি করে এবং সাবেক হুইপ সামশুল হক চৌধুরীসহ আরো ১২১ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে এজাহারে। এছাড়াও আরো অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে ৪০-৫০ জনকে। ইতোমধ্যে আমরা বেশ কয়েক জন এজহার ভুক্ত আসামিকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠিয়েছি। মামলার অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশের বিশেষ টিম কাজ করছে বলে জানান তিনি।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.