মণ্ডপে ইসলামি গান : দুই শিল্পীর জামিন মঞ্জুর
চট্টগ্রাম নগরীর জেমসেন হল প্রাঙ্গনে দুর্গাপূজার মণ্ডপে ইসলামী সঙ্গীত পরিবেশনের ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় গ্রেপ্তার দুই শিল্পীর জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত।
আজ মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) চট্টগ্রামের ষষ্ঠ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কাজী শরীফুল ইসলামের আদালতে শুনানি শেষে তাদের জামিন মঞ্জুর করেন।
জামিন পাওয়া দুজন হলেন- ইসলামী সঙ্গীত পরিবেশনকারী সংগঠন ‘চট্টগ্রাম কালচারাল একাডেমি’র সদস্য শহীদুল করিম ও নুরুল ইসলাম। তাদের মধ্যে শহিদুল করিম পেশায় চট্টগ্রামের বেসরকারি তানজিমুল উম্মাহ মাদ্রাসার শিক্ষক এবং নুরুল ইসলাম দারুল ইরফান অ্যাকাডেমির শিক্ষক।
জামিন দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট শামসুল আলম বলেন, আদালত প্রত্যেককে ১ হাজার টাকা বন্ডে অভিযোগপত্র না আসা পর্যন্ত জামিন দিয়েছেন।
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের দুর্গাপূজার মহাসপ্তমীতে গত ১০ অক্টোবর সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম নগরীর প্রধান পূজামণ্ডপ জেএম সেন হলে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে ইসলামী সঙ্গীত পরিবেশন করে ‘চট্টগ্রাম কালচারাল একাডেমি’র ছয় শিল্পী। তাদের পরিবেশিত দুটি গানের মধ্যে একটি ছিল ‘শুধু মুসলমানের লাগি আসেনিকো ইসলাম’। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়। সংগঠনটিকে জামায়াত ইসলামী ও ছাত্রশিবিরের ভাবাদর্শের বলে অনেকে ফেসবুকে সমালোচনা করেন। তবে সংগঠনটির সঙ্গে জামায়াত-শিবিরের কোনো সম্পৃক্ততা নেই বলে তারা জানায়। এছাড়া চট্টগ্রাম কালচারাল একাডেমির পক্ষ থেকে জানানো হয়, তারা জেএম সেন হলে দুর্গাপূজার আয়োজক সংগঠন চট্টগ্রাম মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের যুগ্ম সম্পাদক সজল দত্তের আমন্ত্রণে সেখানে গান গেয়েছিলেন।
পরে অবশ্যই পূজা উদযাপন পরিষদ সজল দত্তকে বহিষ্কার করে। পরে সজল দত্ত ও সঙ্গীত পরিবেশনকারী ছয় জনসহ মোট সাতজনের বিরুদ্ধে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগ এনে নগরীর কোতোয়ালি থানায় মামলা দায়ের করেন পরিষদের অর্থ সম্পাদক সুকান্ত বিকাশ মহাজন। পরে পুলিশ দু’জনকে গ্রেপ্তার করে।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.