বন্দরের বহির্নোঙরে আরেক তেলবাহী জাহাজে আগুন, নিহত ১

১৮

চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের মালিকানাধীন তেলবাহী ‘বাংলার সৌরভ’ নামের জাহাজে আগুন ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় একজন মারা গেছেন। এছাড়া জাহাজটি থেকে ৪৮ জন নাবিক ও ক্রুকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

শুক্রবার (৪ অক্টোবর) দিবাগত রাত ১২টার দিকে বহির্নোঙরে থাকা ওয়েল ট্যাংকারে আগুন ধরে যায়। চার ঘণ্টার চেষ্টায় নৌ-বাহিনী, কোস্টগার্ড ও বন্দর কর্তৃপক্ষ মিলে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
জানা গেছে, মধ্যরাতে হঠাৎ বিকট শব্দে কেঁপে ওঠে চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে থাকা তেলবাহী ট্যাংকার বাংলার সৌরভ। ঘুমন্ত নাবিকরা জেগে দেখেন, জাহাজের সামনের অংশে আগুন ছড়িয়ে পড়েছে। পুরো জাহাজে বাজতে থাকে ইমার্জেন্সি সাইরেন। জাহাজের পেছনের অংশে জড়ো হতে থাকেন নাবিকরা। উদ্ধার সহায়তা চেয়ে নৌ-বাহিনী, কোস্টগার্ড ও বন্দর কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করেন ক্যাপ্টেন।

উদ্ধারকারী দল পৌঁছানোর আগেই আতঙ্কিত নাবিকদের বেশ কয়েকজন সাগরে লাফিয়ে পড়েন। কয়েকজনকে উদ্ধার করে ফিশিং ট্রলারগুলো। পরে আসে নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ডের সদস্যরা। উদ্ধার করেন, জাহাজের ৪৮ নাবিককে। কিন্তু চিকিৎসাধীন অবস্থায় সাদেক নামে এক নাবিক মারা যান।

কোস্টগার্ড কমান্ডার আরিফুল ইসলাম জানান, নৌবাহিনী এবং কোস্টগার্ড সদস্যদের যৌথ চেষ্টায় রাত ২টা ৩৫ মিনিটের দকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। এরমধ্যে জাহাজে থাকা ৪৮ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়। এ সময় আগুন লাগার কোনো নির্দিষ্ট কারণ তিনি বলতে পারেননি। তবে জাহাজ থেকে কোনো তেল সমুদ্রে ছড়িয়ে পড়ার শঙ্কা নেই বলে জানান তিনি।

তিনি আরও বলেন, সাগরে অপেক্ষমাণ বড় জাহাজ থেকে তেল নিয়ে বন্দরে ফিরছিল বাংলার সৌরভ। তাৎক্ষণিকভাবে আগুন লাগার কারণ জানা যায়নি।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের মালিকানায় ‘বাংলার জ্যোতি’ ও ‘বাংলার সৌরভ’ নামে তেলবাহী দুটি জাহাজ রয়েছে। এগুলো সাগরে অপেক্ষমাণ বড় জাহাজ থেকে তেল নিয়ে বন্দরে পৌঁছানোর কাজ করে। গত ৩০ সেপ্টেম্বর সকাল পৌনে ১১টার দিকে বন্দরের ডলফিন জেটিতে ‘বাংলার জ্যোতি’-তে বিস্ফোরণের পর আগুন লাগে। এ ঘটনায় তিন জন মারা যান। ৪ দিনের ব্যবধানে দুটি জাহাজে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটল।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.