সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদসহ ৩৩০ জনের বিরুদ্ধে মামলা

রাঙ্গুনিয়ার ইছামতি নদীর বালুচর থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন ও চাঁদা দাবির অভিযোগে সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ, ফারাজ করিম, শারুনসহ ৪৩০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে।

বুধবার (২ অক্টোবর) চট্টগ্রাম চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে জালাল আহমেদ (৪০) নামে এক ব্যক্তি বাদী হয়ে মামলাটি করেন। তিনি রাঙ্গুনিয়া উপজেলার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের নতুনপাড়া এলাকার মফজল আহমেদের ছেলে। আদালত পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) মামলার অভিযোগ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

বাদীর আইনজীবী জিয়াউল হক জিয়া বলেন, ‘রাঙ্গুনিয়ার ইছামতি নদীর বালুচর থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন, গুলিবর্ষণ এবং জমির মালিকদের কাছ থেকে এক কোটি চাঁদা দাবির অভিযোগে সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রীসহ ১৮০ জনের নাম উল্লেখ করে একটি মামলা হয়েছে। এছাড়া অজ্ঞাত আরো ১০০ থেকে ১৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে। আদালত মামলাটি পিবিআইকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।

মামলার উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন— সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং চট্টগ্রাম-৭ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ড. হাছান মাহমুদ, রাউজানের সাবেক এমপি ফজলে করিম চৌধুরী, তার ছেলে ফারাজ করিম চৌধুরী, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক সাবেক প্রতিমন্ত্রী দিপংকর তালুকদার, তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারীর ছেলে তৈয়বুল বশর মাইজভান্ডারী, জাতীয় সংসদের সাবেক হুইপ শামসুল হক চৌধুরীর ছেলে শারুন চৌধুরী, চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্সের সাবেক সভাপতি ওমর হাজ্জাজ প্রমুখ।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, চলতি বছরের ১৫ জুলাই বিকেল পাঁচটার দিকে রাঙ্গুনিয়া উপজেলার ইছামতি নদীর রানীরহাট ব্রিজ সংলগ্ন ঠান্ডাছড়ি এলাকায় গিয়ে আসামিরা অসহায় কৃষকদের চাষের জমি থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন শুরু করে। এতে বাধা দিলে আসামিরা কৃষকদের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে দাঙ্গায় লিপ্ত হয়। একপর্যায়ে আসামিরা গুলিবর্ষণ করে। আর বালু উত্তোলনের ফলে ফসলী জমির প্রায় ২০ লাখ টাকার ক্ষতি করে। এছাড়া, আসামিরা ইছামতি নদীর বিভিন্ন স্থানে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের ফলে সাধারণ মানুষের ঘরবাড়ি এবং ফসলি জমি ভেঙে পড়েছে। মামলার বাদী ও জমির ৮৫ জন মালিক আসামিদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করলে গ্রামবাসীকে অস্ত্র দেখিয়ে ফাঁকা গুলি করে এক কোটি টাকা চাঁদা দাবি করা হয়। চাঁদা দিতে না চাইলে গত বছরের ৩০ জানুয়ারি জমির মালিকদের কাছ থেকে খালি স্ট্যাম্পে জোরপূর্বক সাক্ষর নেয় আসামিরা।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.