পাকিস্তানের মাটিতে পাকিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ করে টেস্ট সিরিজ জয় বাংলাদেশের
পাকিস্তানের মাটিতে পাকিস্তানকে দুই টেস্টের সিরিজে হোয়াইটওয়াশ করার কৃতিত্ব দেখাল বাংলাদেশ। রাওয়ালপিন্ডিতে প্রথম টেস্ট ১০ উইকেটে জয়ের পর একই মাঠে দ্বিতীয় টেস্টও দাপটে জিতল টাইগাররা। ১৮৫ রানের টার্গেটে খেলা সফরকারীরা আজ মঙ্গলবার পঞ্চম ও শেষদিন ৪ উইকেট হারিয়ে ১৪৩ রান তুলে নিয়ে জয় নিশ্চিত করে। ইতিহাস গড়ে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে দ্য গ্রিন ম্যানদের ৬ উইকেটে হারিয়ে প্রথমবার সিরিজ জিতল টাইগাররা।
মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) আগের দিন দুর্দান্ত শুরু পাওয়া দুই ওপেনার জাকির এবং সাদমান আপন গতিতে এগোচ্ছিলেন। কিন্তু ফিফটির সম্ভাবনা জাগিয়েও থিতু হতে পারেননি জাকির। দলীয় ৫৮ রানের মাথায় ৩৯ বলে ৪০ রানে সাজঘরে ফেরেন এই ওপেনার। জাকিরের বিদায়ের পর আরেক ওপেনার সাদমানও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। দলীয় ৭০ রানে ৫১ বলে ২৪ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন তিনি।
এরপর অভিজ্ঞ মুমিনুলকে সঙ্গে নিয়ে দিনের শুরুর ধাক্কা সামলে নেন শান্ত। দেখেশুনে খেলতে থাকেন তারা। জয়ের দ্বারপ্রান্তে থেকে স্বস্তি নিয়েই মধ্যাহ্নবিরতিতে যায় বাংলাদেশ।
লাঞ্চ বিরতি থেকে ফেরার পর চতুর্থ ওভারেই শান্তর উইকেট হারায় বাংলাদেশ। পার্ট টাইম স্পিনার আঘা সালমানের বলে গালিতে আব্দুল্লাহ শফিকের হাতে ক্যাচ দিয়ে ৩৮ রান করে ফেরেন টাইগার দলপতি।
শান্তর বিদায়ের পর মুশফিকের সঙ্গে জুটি গড়েন মুমিনুল। এই জুটিতে জয়ের স্বপ্ন বুনছিল বাংলাদেশ। তবে আত্মঘাতী শটে উইকেট বিলিয়ে দেন মুমিনুল। আবরারের ফ্লাইটেড ডেলিভারিতে মিড-অনে সাইমের মুঠোবন্দি হয়ে ৩৪ রানে ফেরেন সাবেক এই টাইগার অধিনায়ক।
এরপর সাকিব আল হাসানকে সঙ্গে নিয়ে বাকি কাজটা সারেন মুশফিকুর রহিম। আর কোনো বিপদ হতে না দিয়ে স্বাগতিকদের হতাশায় চুবিয়ে ঐতিহাসিক জয় ছিনিয়ে নেয় লাল-সবুজেরা। এতে ফের দেশের বাইরে টেস্ট সিরিজ জয়ের স্বাদ পেল বাংলাদেশ।
২৪ বছরের টেস্ট ইতিহাসে এর আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে দু’বার ও জিম্বাবুয়েকে একবার ধবলধোলাই করেছে বাংলাদেশ। এবার পাকিস্তানকে নাকানিচুবানির স্বাদ দিলো লাল-সবুজেরা। এর আগে, ২০০৯ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ আর ২০২১ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে অ্যাওয়ে সিরিজে জয়ের স্মৃতি ছিল। এবার সেই তালিকায় পাকিস্তান যুক্ত হলো।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.