পাহাড় থেকে সরতে সাত দিনের সময় দিলেন পরিবেশ সচিব
চট্টগ্রামে পাহাড়ে বসবাসকারিদের সরে যাওয়ার জন্য সাত দিন সময় বেঁধে দিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলাবায়ু মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. ফাহমিদা খানম। অন্যথায় আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তাদের সরানোর হবে জানিয়েছেন তিনি।
আজ মঙ্গলবার নগরীর কয়েকটি এলাকায় পাহার কাটার স্থান সরেজমিনে পরিদর্শন করে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
অতিরিক্ত সচিব ফাহমিদা খানম বলেন, ‘পাহাড় কাটা রোধে সরকার জিরো টলারেন্স নীতি ঘোষণা করেছে। পাহাড় কেটে বসতবাড়ি তৈরি করলে ভারী বৃষ্টিতে মাটি ধসে পড়ে। এতে অনেক মানুষ হতাহত হন। এ ছাড়া বিশ্বের জীববৈচিত্র্য রক্ষায় ২০৩০ সালের মধ্যে বায়ো-ডাইভারসিটি ফ্রেমওয়ার্কের আওতায় পানি ও জমির ৩০ শতাংশ সংরক্ষণ করার জন্য আইন পাস করা হয়েছে।
তিনি বলেন, পাহাড় কাটার বিরুদ্ধে সরকার কঠোর অবস্থান নিয়েছে। কোনো ধরনের নদী, পুকুর, ডোবা যেমন ভরাট করা যাবে না, তেমনি পাহাড়ের মাটিও কাটা যাবে না। কোনো পাহাড় ব্যক্তিমালিকানাধীন হলেও সে পাহাড়ের মাটি কাটা যাবে না ।
তিনি আরও বলেন, ‘যারা এতদিন পাহাড় কেটে বসতবাড়ি তৈরি করেছেন, তাদের আগামী সাত দিনের মধ্যে নিজ দায়িত্বে সরে যাওয়ার নির্দেশ দিচ্ছি। অন্যথায় আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তাদের অপসারণ করা হবে।’
এর আগে সকাল সাড়ে ১০টা থেকে প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা ধরে অতিরিক্ত সচিব ফাহমিদা খানমের নেতৃত্বে মন্ত্রণালয়ের একটি টিম নগরীর আকবর শাহ থানার উত্তর পাহাড়তলী ওয়ার্ডের উত্তর লেকসিটি, হারবাতলী, শাপলা আবাসিক এলাকা এবং লতিফপুর ওয়ার্ডের মিরপুর এলাকায় পাহাড় কাটার পরিস্থিতি পরিদর্শন করেন।
পরিদর্শনকালে দু’জনকে পাহাড় কাটা অবস্থায় হাতে নাতে ধরা হয়। এ সময় তাদের হাতে কোদাল ও কাস্তে পাওয়া যায়। জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায়, জায়গার মালিকের নির্দেশে সবজি চাষ করার জন্য তারা পাহাড়ের মাটি কাটছে। মোবাইল কোর্ট আইন ২০০৯ এবং পরিবেশ সংরক্ষণ আইনের আওতায় অপরাধী একজনকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে তিন দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ড এবং অন্যজনকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে ১০ দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা হয়।
এ সময় পরিবেশ অধিদফতর চট্টগ্রামের পরিচালক হাসান হাছিবুর রহমানসহ জেলা প্রশাসন ও পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.