প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে পেকুয়ায় শ্রমিকদল নেতা নিহত
সিএনজি লাইন দখল নিয়ে বিরোধ
কক্সবাজারের পেকুয়ায় সিএনজি অটোরিকশা শ্রমিক ইউনিয়নের লাইন দখল আধিপত্য নিয়ে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে শহিদুল ইসলাম ওরফে শওকত (৩৮) নামের এক শ্রমিকদল নেতা নিহত হয়েছেন।
গতকাল সোমবার রাত ১০টার দিকে পেকুয়া বাজারের পশ্চিম পাশে ওয়াপদা অফিসের সামনে এ ঘটনা ঘটে। নিহত শ্রমিকদল নেতা শহিদুল ইসলাম শওকত (৪০) পেকুয়া সদর ইউনিয়নের ভোলাইয়াঘোনা এলাকার শফিউল আলমের ছেলে। হামলায় তার ভাই মোহাম্মদ শাকের (২৭) ও চাচাতো ভাই মোহাম্মদ তারেক (২৩) গুরুতর আহত হন। আহতদের পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
শ্রমিকদলের একাধিক নেতা জানিয়েছেন, শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে শ্রমিকদলের দুই পক্ষই পেকুয়া সিএনজি, টেম্পু, অটোরিকশা শ্রমিক ইউনিয়নের লাইন দখল নিতে মরিয়া হয়ে ওঠে। এর জের ও দলের অভ্যন্তরীণ বিরোধের জেরে ছুরিকাঘাতের ঘটনাটি ঘটেছে। তারা জানান, শ্রমিকদলের নেতারা আরও বলেন, তুচ্ছ বিষয় নিয়ে গত রোববার রাতে শহিদুল ইসলাম শওকত এবং সাজ্জাদুল ইসলামের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও ধাক্কাধাক্কি হয়। বিষয়টি উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও পেকুয়া সদর ইউপির চেয়ারম্যান বাহাদুর শাহ পর্যন্ত গড়ায়। তিনি সোমবার সকাল ১০টার দিকে দুই পক্ষকে ইউনিয়ন পরিষদে ডেকে বিরোধ মীমাংসা করে দেন এবং বিশৃঙ্খলা করলে দল থেকে বহিষ্কারের হুমকি দেন। এরপর রাত আটটার দিকে ভোলাইয়াঘোনা রাস্তার মাথায় সাজ্জাদুল ইসলামের এক চাচাতো ভাইকে মারধর করেন শওকত ও তার ভাই শাকের। এই ঘটনার জের ধরে সাজ্জাদুল ইসলামের লোকজন দলবদ্ধ হয়ে শওকত, সাকের ও তারেকের ওপর আক্রমণ করে। এতে তিনজনই ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত হন।
স্থানীয় লোকজন ও আত্মীয়-স্বজনেরা আহতদের উদ্ধার করে পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় শওকতকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। হাসপাতালের কাছাকাছি পৌঁছালে শওকত মারা যান।
পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ইলিয়াছ বলেন, ঘটনার সঙ্গে কারা জড়িত, কেন খুন হলো সব তথ্য সংগ্রহ করেছি। জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.