চট্টগ্রামে ৫ জনের মৃত্যু, এখনো পানিবন্দি ২লাখ ৬২ হাজার মানুষ
চট্টগ্রামে বন্যা পরিস্থিতি এখনো অপরিবর্তিত। তবে কিছু কিছু এলাকায় পানি নামতে শুরু করেছে । গত দু’দিনে বন্যার পানিতে ডুবে ও বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে জেলায় অন্তত পাঁচজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। বন্যায় নিহত পাঁচজন ফটিকছড়ি, রাঙ্গুনিয়া, মীরসরাই ও হাটহাজারী উপজেলার বাসিন্দা।
শুক্রবার ( ২৩ আগস্ট ) প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
ফটিকছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোজাম্মেল বলেন, ‘দাঁতমারা, নারায়নহাট ও ভুজপুরে ইউনিয়নের এক শিশুসহ তিনজনের মৃত্যুর খবর আমরা পেয়েছি। তারা বানের পানিতে ভেসে গিয়েছিল। এছাড়া গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে রাঙ্গুনিয়ার দক্ষিণ রাজানগর ইউনিয়নের বাসিন্দা মো. রনি (১৭) বাঁশের ভেলা বানিয়ে তিন বন্ধুকে নিয়ে স্থানীয় বিলে নামে। পরে প্রবল স্রোতে ভেসে গিয়ে নিখোঁজ হয় সে। খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গেই সেখানে হাজির হন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। রাত সাড়ে ১১টার দিকে ওই বিল থেকেই রনির মরদেহ উদ্ধার করে স্থানীয়রা। এদিকে হাটহাজারী উপজেলায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে জিয়াউর রহমান সাকিব (২২) নামের এক তরুণের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার সকালে উপজেলার ফরহাদাবাদ ইউনিয়নের ইউসুফ চৌধুরীর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। এ ছাড়া ফটিকছড়ি উপজেলায় প্রবল স্রোতে ভেসে গিয়ে নিখোঁজ হওয়া মো. সামি (৭) নামে এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করেছেন স্থানীয়রা।
এছাড়া আজ শুক্রবার সকালে মীরসরাই উপজেলার হাইতকান্দি এলাকায় পানিতে ভাসমান অবস্থায় এক অজ্ঞাত তরুণের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। মরদেহের সঙ্গে বৈদ্যুতিক তার জড়িয়ে থাকায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা গেছেন বলে স্থানীয়দের বরাত দিয়ে বলেন তিনি।
এখনও পানিবন্দি অবস্থায় আছেন ১০ উপজেলার দুই লাখ ৬২ হাজার ৪০০ জন মানুষ। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে সরকারি-বেসরকারি ত্রাণ সহায়তা দেওয়া হলেও সেগুলো প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল বলে জানিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্ত লোকজন।
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের তথ্যমতে, জেলায় বন্যায় ৫০ হাজার ৭০৬টি পরিবারের প্রায় দুই লাখ ৬২ হাজার ৪০০ মানুষ পানিবন্দি। বন্যায় মীরসরাই ও ফটিকছড়ি উপজেলার ৫৯০ কিলোমিটার রাস্তা ও ১২৫টি কালভার্ট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফটিকছড়ি উপজেলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৩৬৫টি নলকূপ ও এক হাজার ৫৩৭টি ল্যাট্রিন।
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.