টানা বৃষ্টিতে কোমর পানিতে ডুবেছে চট্টগ্রাম

টানা বৃষ্টিতে আবারও কোমর পানিতে ডুবেছে চট্টগ্রাম নগর। বুধবার রাত থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত টানা বৃষ্টিতে নগরের বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। কয়েকটি সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে আছে। যানবাহন কম থাকায় বেশি ভাড়া গুনতে হচ্ছে যাত্রীদের। ফলে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন কর্মজীবীরা।

পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে ৯টার মধ্যে তিন ঘণ্টায় ৫৫ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে। সকাল ৯টায় শুরু হয় দিনের প্রথম জোয়ার। ভাটা শুরু হবে বেলা ২টায়। এরআগে গত মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে ১২টার মধ্যে তিন ঘণ্টায় ৬০ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড হয়েছিল।

এদিকে জলাবদ্ধতার কারণে কয়েকটি সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে আছে। রিকশা ও ভ্যানগাড়িতে যাতায়াতে বেশি ভাড়া দিতে হচ্ছে যাত্রীদের। দুর্ভোগে পড়েছেন কর্মজীবীরা। নগরের পাহাড়গুলোতে ঝুঁকি নিয়ে বসবাসকারীদের সরিয়ে নিতে প্রশাসনের

বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ভারি বৃষ্টি আর জোয়ারের কারণে কোমর পানিতে ডুবেছে নগরের শুলকবহর, মুরাদপুর, দুই নম্বর গেইট, মোহাম্মদপুর, জাকির হোসেন রোড, ওয়াসা রেবতী মোহন সড়ক, প্রবর্তক মোড়, কাতালগঞ্জ, ডিসি রোড, ফুলতলা, কে বি আমান আলী রোড, চকবাজার, বাকলিয়া, দেওয়ানহাট, মোগলটুলী, পাঠানটুলী, আগ্রাবাদ কমার্স কলেজ রোড, হালিশহর ওয়াপদাসহ বিভিন্ন এলাকা।  পানিতে ডুবে যায় দোকানপাট, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বাসাবাড়ি। চরম ভোগান্তিতে পড়ে নগরবাসী।

পানির উচ্চতা সবচেয়ে বেশি বহদ্দারহাট মোড়ে । সেখানকার স্বজন সুপার মার্কেটের নিচতলা তলিয়েছে পানিতে। এছাড়া বাদুরতলা-কাপাসগোলা সড়কে হাঁটু সমান পানি দেখা গেছে।

পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাস কর্মকর্তা আলী আকবর খান বলেন, মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের উপর সক্রিয় আছে এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি থেকে প্রবল অবস্থায় আছে। একারণে ভারি বৃষ্টি হচ্ছে। আজ দিনের বেলা আরও বৃষ্টি হয়ে বিকাল থেকে বৃষ্টির তীব্রতা কিছুটা কমতে পারে। তবে আরও দুয়েকদিন বৃৃষ্টি হবে। বান্দরবান ও আশেপাশের এলাকায় ভারি বৃষ্টি হবে। চট্টগ্রাম ও আশেপাশের এলাকায় ভারি বর্ষণ এবং পাহাড় ধসের সতর্কতা জারি আছে জানিয়ে তিনি বলেন, তবে ঝড়ো বাতাস না থাকায় সমুদ্র বন্দরে কোনো সতর্কতা নেই আপাতত।

এদিকে জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা ছাইফুল্লাহ মজুমদার বলেন, আমরা উপজেলাগুলো থেকে তথ্য চেয়েছি। সেখান থেকে তথ্য পেলে তারপর জানাতে পারব।

পাহাড় ধস ঝুঁকি, জলাবদ্ধতা ও বন্যা ঝুঁকিজনিত দুর্যোগ পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রত্যেক ইউনিয়ন, উপজেলা ও সদর হাসপাতাল মিলে মোট ২৯০টি মেডিকেল টিম প্রস্তুত রাখতে নির্দেশ দিয়েছেন সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী।

টানা বৃষ্টিতে চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি ও রাউজান উপজেলার বিভিন্ন এলাকা তলিয়ে যাবার খবর পাওয়া যাচ্ছে বুধবার বিকেল থেকে।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.