টানা বৃষ্টিতে চট্টগ্রামে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি, জনজীবনে চরম দুর্ভোগ

১০

টানা বৃষ্টিতে চট্টগ্রামে জনজীবনে চরম দুর্ভোগ দেখা দিয়েছে। গতকাল বুধবার রাত থেকে শুরু হওয়া বৃষ্টি অবরিামভাবে পড়ছে। টানা বৃষ্টির কারণে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্ঠি হয়েছে। এতে করে নগরবাসীতে ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে। বিশেষ করে কর্মস্থলমুখী মানুষ এ ভোগান্তিতে পড়ে।

আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে নগরীর বাকলিয়া, চান্দগাঁও, কাপাসগোলা, শুলকবহর, বাড়ইপাড়া, ডিসি রোড, বাকলিয়া, চকবাজার কাঁচাবাজার, রহমতগঞ্জ, আতুরার ডিপো এলাকার রাস্তাঘাট ও অলিগলি পানিতে তলিয়ে যায়। এছাড়া হালিশহর এলাকার বেশ কিছু নিচু এলাকায় জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। জলাবদ্ধতা কারণে অনেক এলাকায় সড়কে গণপরিবহণ সংকট দেখা দিয়েছে। রাস্তার মোড়ে মোড়ে যাত্রীদের দীর্ঘ সময় যানবাহনের জন্য দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে।

নগরীর কাপাসগোলা এলাকার বাসিন্দা আরহামুল আলম সুচক চট্টগ্রাম২৪ নিউজকে বলেন, ‌‘কাল রাত থেকেই বৃষ্টি। এ কারণে কাপাসগোলা এলাকায় পানি জমে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। তিনি বলেন, এই এলাকার খালটি পরিষ্কার করার কারণে পানি দ্রুত অপসারণ হচ্ছে। তবে খালটি অনেক সংকুচিত। তাই অতিরিক্ত বৃষ্টির হলে খালটির পানি ধারণ ক্ষমতা কম। পানি নামতে দেরি হচ্ছে বিধায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে।

চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ-সিডিএ’র চেয়ারম্যান চট্টগ্রাম২৪ নিউজকে বলেন, জলাবদ্ধতা এবার অনেক সহনিয় পর্যায়ে আছে। এবারের টানা বৃষ্টিতেও চাক্তাই, খাতুনগঞ্জ ও আগ্রাবাদের মা ও শিশু হাসপাতালে পানি উঠেনি।

তিনি বলেন, আমার টার্গেট হচ্ছে জলাবদ্ধতা শূণ্যের কোঠায় নিয়ে আসা। কিন্তু জলাবদ্ধতা নিরসন নিয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কাজ ঠিকমত শেষ করতে পারছেনা বলেন এটা সম্ভব হচ্ছে না।

এদিকে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ১১৪ দশমিক ৬ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে চট্টগ্রামে। এরমধ্যে বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) ভোর ৬টা থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত সময়ে তারা চট্টগ্রামে ৬২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে। বায়ু চাপের তারতম্যের আধিক্য বিরাজ করছে। এ কারণে বৃষ্টিপাত বেশি হচ্ছে। গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত খুব একটা বৃষ্টি না হলেও রাত ১১টার পর মূলত বেশি বৃষ্টি শুরু হয়েছে। বৃষ্টির এ ধারা আজ দিনের বাকি সময় এবং কাল সারাদিন থাকতে পারে। থেমে থেমে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বজ্র অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হওয়ার আভাস রয়েছে।

পতেঙ্গা আবহা অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ আলী আকবর খান বলেন, ‘উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় বায়ু চাপের তারতম্যের আধিক্য বিরাজ করছে। এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালা তৈরি অব্যাহত রয়েছে। এর কারণেই মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টি হচ্ছে চট্টগ্রামে। আরও দুই একদিন এমন বৃষ্টি অব্যাহত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালার কারণে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্র বন্দর সমূহের উপর দিয়ে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। সমুদ্র বন্দর সমূহকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.